‘সাংবাদিক গ্রেফতার বুঝিয়ে দেয় কেমন হয়েছে নির্বাচন’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৩০ ডিসেম্বর যমুনা টেলিভিশন বন্ধ এবং খুলনায় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হওয়ার ঘটনা বুঝিয়ে দেয় নির্বাচন কেমন হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনটির আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, যার অধিকাংশ নেতাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থক।

ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এটি ছিল নির্বাচনের নামে প্রতারণা। নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে জনগণ, সংবিধান, গণতন্ত্র, বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতারণা করেছেন।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, তাহলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তবুও প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কথায় নির্বাচনে এসেছিল ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলি করা হয়েছে, এজেন্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে করে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা নীরব থাকতে পারি না।

খুলনায় ২২ হাজার ভোট বেশি গণনা হওয়ার খবর ছাপানোকে কেন্দ্র করে দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

তিনি আরও বলেন, আমি কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ৯০ শতাংশ এলাকায় নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশ ব্যালট বাক্স ভরাট করেছে, এজেন্টদের গুলি করার ভয় দেখিয়েছে, গ্রেফতার করেছে। ভোটের আগমুহূর্তে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন এলাকা থেকে আইনজীবীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা হাইকোর্টের নেই। তবুও হাইকোর্টের বিচারপতিরা মামলাগুলোর শুনানি নিয়ে অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নিজেদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই আপনারা পদত্যাগ করুন। এই নির্বাচন যেহেতু জাতি গ্রহণ করেনি, তাই এ নির্বাচন বাতিলের আবেদন জানাচ্ছি।