নোয়াখালীতে নারী ধর্ষণ নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

ধর্ষণ একটি আতংকের নাম বর্মমান সমাজে। সারাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিজের মেয়েও।ধর্ষণকে অপরাধই মনে হচ্ছে না লম্পটদের কাছে । লম্পটদের লালসার শিকার হচ্ছে দেশের হাজারো নারীও শিশু । এমনি গণ ধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধু ।জানা গেছে ভোট দেয়া নিয়ে ‘নৌকা’র সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর নোয়াখালীতে এক নারী ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ রেহাই পাবেন না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

নির্বাচনের দিনগত রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীর দাবি, ৩০ ডিসেম্বর রোববার সকালে তিনি তার এলাকার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এই ঘটনাটি সেদিনই জেনেছি। ওই নির্বাচনী এলাকা আমার নয়, কিন্তু আমার জেলায়। এই ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক কেউ পার পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মনোভাব জানি। অলরেডি পুলিশের আইজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ডিআইজি সম্ভবত স্পটে গেছেন। সেনাবাহিনীর ওই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররাও বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছেন। প্রশাসনও তৎপর।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বলতে পারি সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে। এখানে অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’