তৃণমূল পর্যায়ে শেখ হাসিনার সতর্কবার্তা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ রয়েছে। কোন প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জনগণ যাকে পছন্দ করবে তাকেই ভোট দেবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিপরীত প্রান্তে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এবং পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকল নেতাকর্মীর কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চান এবং পাবনা ৫টি আসনের নৌকার প্রার্থীদের উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।

পাবনায় অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে পাবনা-১ আসনের সংসদ শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের আহমেদ ফিরোজ কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পাবনা-৫ আসনের সংসদ ভূমীমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলু ও পাবনা-৩ আসনের সংসদ মো. মকবুল হোসেন নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পাবনার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন এবং বিরোধী দলের প্রসঙ্গে বলেন, ধানের শীষ মানে পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ। ধানের শীষ মানে গ্রেনেড হামলা দুর্নীতি দেশবাসী তাদের ভোট দেবে না। সারা দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অব্যহত রাখতে জনগণ নৌকার পক্ষেই থাকবে।

শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীদের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রতিপক্ষের প্রার্থী সহ তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর যেন কোন হামলা না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা চাই সকল রাজনৈতিকদল অবাধে ও সাবলীল ভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা করুক। জনগণ নৌকায় ভোট দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে যড়ষন্ত্র চলছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি ৩০ ডিসেম্বরের আসন্ন নির্বাচনে তাদের পরাজয় বুঝতে পেরেছে এবং নির্বাচনের আগে তারা নাশকতা করতে পারে।

তিনি দলের নেতা-কর্মীদেরকে বিএনপি ও এর সহাযোগীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, বিএনপি তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নাশকতা করতে পারে।

তিনি বলেন, বিএনপি ইতিমধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা, ১৪১জনকে আহত করেছে, আওয়ামী লীগের ১৭০টি নির্বাচনী কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা এবং ৫৪টি জায়গায় বোমা হামলা চালিয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে বলেও আশাবাদ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুব্ধ মানুষদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান পাবনাবাসীকে। পরে তিনি পাবনার ৫টি আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ভোটারদের সাথে।