মালয়েশিয়াতে যে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে এই প্রবাসী বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ আইটি মার্কেট প্লাজা ল ইয়াত প্লাজায় গত ২২ শে ডিসেম্বর চতুর্থতম শো-রোমের উদ্ভোধন করা হয়। যার মালিকানা একজন সম্পূর্ণ বাংলাদেশির। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার লক্ষিকুন্ড এলাকার ছেলে হাবিবুর রহমান খান সুমন। ২০০৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্লোবাল আইটি জোন এসডি এন বিএইচডি নামের কোম্পানি।

ধীরে ধীরে মালয়েশিয়ার সকল কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা করে আজকে মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য কোম্পানি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে (www.projector.my) অনলাইন। কোম্পানির রেপুটেশনের কারণে অনলাইন অফলাইন দুই মাধম্যেই গ্রাহকদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং বিশ্বস্থতা অর্জন করেছে। কোম্পানি চালু করার পর থেকে ক্রেতাদের কাছে বিস্বস্থতার পাশাপাশি সকল আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কতৃক স্বীকৃতিও লাভ করেছে।

বর্তমানে কোম্পানিটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তার ছোট ভাই হুমায়ুন কবির খান। সব গুলো ব্রাঞ্চে লোকাল মালয়,চাইনিজ ও ইন্ডিয়ানদের পাশাপাশি ২০ জন বাংলাদেশির কর্মস্থল।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্রে “লইয়াট প্লাজা”। ইলেক্ট্রনিক্স ও আইটি সামগ্রীর এই মার্কেট সারা মালয়েশিয়াতে সুপরিচিত। প্রায় সাড়ে ৫ শ ইলেক্ট্রনিক্স দোকান ও আইটি সামগ্রীর শো-রুমের মধ্যে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান রয়েছে প্রায় ৫০ থেকে-৬০ টি। দীর্ঘ দিন থেকে এ মার্কেটে ব্যাবসা করে আসছেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশী ছাড়াও এই মার্কেটে অনেক ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী ব্যবসায়ী রয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর সরেজমিন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশি ব্যবসায়িদের পাশাপাশি প্রতিটি দোকানে প্রায় ৫ থেকে ৬শ জন বাংলাদেশি শ্রমিক চাকরি করছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছেন।

বাংলাদেশি দোকানের মালিকরা সাধারনত কোম্পানীর ডাইরেক্টর ভিসা ও সেকেন্ড হোম ভিসা নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে থাকেন।
বুকিত বিন্তাং পর্যটক এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় লয়েট প্লাজায় বেচাকেনা চলে ভাল। প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে এ মার্কেটে । তবে মার্কেটটিতে দিন দিন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো চোখে দেখছেন না অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের ম্যানেজমেন্ট চাইনিজ হওয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক ও মালিকদেরকে রীতিমত বিভিন্ন শর্তের জালে আটকে রাখে বলে জানালেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ি এ প্রতিবেদককে জানান, আগে খুবই ভালো ব্যবসা করতেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বর্তমানে তারা অনেক সমস্যা মোকাবেলা করছেন । বিশেষ করে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন এখানে নিয়মিত ধরপাকড় করে। আবার কোম্পানীর আন্ডারে ভিসার জন্য দরখাস্ত করেও দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয় বলে জানালেন আরেক বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী হুমায়ূন খান।

ভিসা এবং চাইনিজ ম্যানেজমেন্টের জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এগিয়ে আসলে এই সমস্যা সমাধান হবে এবং বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীরা খুব ভালো অবস্থানে থাকবে বলে মনে করেন লইয়াট প্লাজার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।