হঠাৎ বি. চৌধুরীর অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ হাজির

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও যুক্তফ্রন্ট। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ সোমবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বি. চৌধুরীর অনুষ্ঠানে ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাফরুল্লার উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান গুঞ্জন। হঠাৎ কি কারণে বি. চৌধুরীর অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ হাজির হয়েছে সে প্রশ্ন করেছেন অনেক। উল্লেখ্য গত ১৪ অক্টোবর বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ছাড়াই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুরু থেকেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় সামনের সারিতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বি. চৌধুরীকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই আওয়ামী লীগের সঙ্গে মেহাজোটে যোগ দেন বি. চৌধুরী। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বেই থাকেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার বিকল্পধারার ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

বিকল্পধারার ৮ দফা ইশতেহারে আইন প্রণয়ন এবং প্রশাসনিক সংস্কার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি, কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থা, গণতন্ত্র ও ভারসাম্যের রাজনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং আইন-শৃংখলা, পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি নিয়ে বিস্তারিত প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

সংসদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো, যুব কমিশন গঠন, আলাদা পাট মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, মন্ত্রীসভায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ নারীদের এবং ২০ শতাংশ বিশেষজ্ঞদের জন্য আসন সংরক্ষণ, সংসদে নারী আসন ৭০-এ উন্নীতকরণ, শ্রমজীবী সংখ্যালঘুদের মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার এবং প্রচলিত ওষুধ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণসহ ইশতেহারে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারবিরোধী জোট হিসেবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের শুরুতে বিকল্পধারার সভাপতি বি চৌধুরীকে বেশ উদ্যোগী ভূমিকায় দেখা গেলেও শেষ মূহুর্তে ওই জোট থেকে বাদ পড়েন তিনি এবং তার ছেলে মাহী বি চৌধুরী। নানা নাটকীয়তার পর গত নভেম্বরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেয় বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্ট।