রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

পটুয়াখালী-৩ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গলাচিপা থানায় মামলাটি দায়ের করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও গলাচিপা মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী মাসুদ।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান খান, রনির ভাই সরোয়ার হোসেন, শ্যালক মকবুল হোসেন, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু খান ও শাহআলম সানু।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, মামলায় গোলাম মাওলা রনিসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় মামলাটি নেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে ‘গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা টিএন্ডটি সড়কে গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা আত্মঘাতি ঘটনা ঘটিয়ে আইনশআইন শৃঙ্খলার অবনতি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, যা মোবাইলে কথোপকথনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করেছে, যা আসন্ন নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ওই আত্মঘাতি ঘটনা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশিত হয়। বাদি যেহেতু পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক সেহেতু তার সম্মান খুণ্ন হয়েছে।’

মামলার বিষয়ে গোলাম মাওলা রনি বলেন, মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ছাড়া একই ঘটনায় অন্য কোনো পক্ষ মামলা করতে পারবে না। এখানে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রীর অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ না করে আইন লঙ্ঘন করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর গলাচিপা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের টিএন্ডটি এলাকায় প্রচরণা চালিয়ে ফেরার সময় রনি’র স্ত্রী-বোনসহ গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব মিয়াকে বহনকরা মাইক্রোবাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

এতে গোলাম মাওলা রনি’র স্ত্রী লুনা আক্তার, তার বোন এবং গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবু তালেব মিয়াসহ ছয়জন আহত হয়।

গোলাম মাওলা রনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৪ সালে তাকে আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি। পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকার টিকিট না পেয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।