ভোটে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মী

রাজধানীর ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটের দিন জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত ২০০ নেতা-কর্মী থাকবে। আর এই কারণে সারাদেশ থেকে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এনে জড়ো করা হচ্ছিল। জামাায়াতের গ্রেপ্তার হওয়া এক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।

বুধবার রাতে রাজধানী গুলশান এলাকা থেকে নাজমুল হক সুমন নামের এক জামায়াতের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার জামায়াত নেতা নাজমুল হক সুমন প্রথম শ্রেণির একটি বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক (সিটি রিপোর্টার)। তিনি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক। শিক্ষক এবং সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে তিনি জামায়াত শিবিরের সাংগঠনিক কাজ করছিলেন বহুদিন ধরে।
নাজমুল হক সুমন গুলশান থানার শাহাজাদপুরে তার নিজ বাসায় জামায়াতের সব গোপন বৈঠক করতেন। তার এক ভাই গুলশান থানা যুবলীগের নেতা। তার পরিবার দাবি করেছে নাজমুলের আরেক ভাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বড় কর্মকর্তা। তার নামে গুলশান থানায় নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। গুলশান থানার পাঁচটি মামলার তিনি এজহার নামীয় আসামি। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে নাজমুল হক সুমন পুলিশকে জানিয়েছেন, রাজধানীর ভোট কেন্দ্রগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ২০০ প্রশিক্ষিত কর্মী পাহারা দেবে। এজন্য সারা দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে ঢাকায় আনা হয়েছে। একটি প্রখ্যাত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককেও পুলিশ একই অপরাধে খুজছে।

এ ব্যাপারে গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একধিক মামলা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চাইব। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন গ্রেপ্তারকৃত সুমন সাংবাদিক কী না ? তার ভাই সোহেল ছাত্রলীগ অথবা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এটা সঠিক। কিন্তু তিনি কোন পদে বা কোন সংগঠনের সেটা আপাতত বলতে পারছিনা। আর সুমনের আরেকভাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বড় কর্মকর্তা এমন কোনো পরিচয়ও তার পাওয়া যায়নি।