জীবন গেলেও ভোট থেকে সরবেন না সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. প্রিয়াংকা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা রাজনীতিতে নবীন হলেও প্রচারে দূরদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছেন। দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শেরপুর-১ আসনের ধানের শীষের এ প্রার্থী।

প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটে থাকার। তিনি বলেন, জীবন গেলেও ৩০ ডিসেম্বর মাঠে থাকবেন। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন। মাঠ ছাড়বেন না কিছুতেই।

নির্বাচনের প্রচারে বাধা ও পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ডা. প্রিয়াংকার। বুধবার দুপুরে শহরের মাধবপুরে তার নির্বাচনী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. প্রিয়াংকা বলেন, শুরু থেকেই আমাদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এভাবে আমার নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ বাধাবিঘ্ন সৃষ্টিতেও ধানের শীষের জয়রথ থামানো যাবে না। শেরপুর-১ আসনের জনগণ এবার ধানের শীষের পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটাবে।

ডা. প্রিয়াংকা নেতাকর্মীদের ভোট গণনা পর্যন্ত মাঠে থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি। জীবন গেলেও মাঠ ছাড়ব না।

ডা. সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া ডা. সানসিলার তথ্যানুযায়ী-তার জন্ম ১৯৯৩ সালের ২২ জুন। তিনি ২০০৮ সালে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করেন ২০১০ সালে। আর এমবিবিএস পাস করেন ২০১৬ সালে।

এ আসনে দীর্ঘ ২২ বছর পর দলীয় প্রার্থী পেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি থেকে মো. নজরুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এর পর একই বছর ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নজরুল ইসলাম পুনরায় প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।

এর পর থেকে এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে এমপি হন আওয়ামী লীগের আতিক। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আতিককে সংসদের হুইপ করা হয়।

ডা. সানসিলা শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে। এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন হযরত আলী। তিনিসহ বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় সানসিলার।

এবার ধানের শীষের প্রার্থী পেয়ে খুশি এ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের দাবি-ডা. প্রিয়াংকা বিভিন্ন সময় তার নির্বাচনী এলাকায় চরাঞ্চলের দুস্থ মানুষকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা দিয়েছেন।