সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিশু আফরিনের মৃত্যুর শোক না কাটতেই মারা গেলেন বাবা

জীবিকার টানে বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ লোক বিদেশে পাড়ি জমায়। আর তার বেশি সংখ্যকই পাওয়া যাবে মধ্য প্রাচ্যে। বিশেষ করে সৌদি আরবেও অসংখ্য বাংলাদেশি প্রবাসির দেখা মিলে। সেখানে অনেক বাংলাদেশিরা স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। সম্প্রতি সৌদি আরবে এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের এক পরিবার।

শিশু আফরিনের মৃত্যুর শোক না কাটতেই বাবা ফখরুল ইসলামের মৃত্যু। ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যু খবরে শাহরাস্তি উপজেলা পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের ভাটুনিখোলা মুন্সিবাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

সৌদি আরব প্রবাসী চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির ফখরুল ইসলাম ১৫ নভেম্বর রিয়াদ থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে আল কাসিম নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের এগার জন আহত হন। দুর্ঘটনাস্হলে ফখরুল ইসলামের শিশু কন্যা আফরিন নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা ফখরুল ইসলাম দীর্ঘ ২৮ দিন সৌদির আল রাস জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তাদের নিকট আত্মীয় জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় জানান, নিহত শিশু আফরিনের দাফন সম্পন্ন করে ফখরুলের স্ত্রী আড়াই বছরের শিশু কন্যা মুনিয়াকে নিয়ে মক্কায় ওমরাহ পালনে রয়েছেন। তাদের কাছে এখনও ফখরুলের মৃত্যু সংবাদ পৌছায়নি।

এ ঘটনায় সৌদি আরবে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, শিশু আফরিন ও ফখরুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ফখরুলের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায় নেমেছেন।