আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন একই আসনের মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
নির্বাচনী হলফনাফায় তথ্য গোপনের অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে মেননের পক্ষে আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম এই আপিল করেন।
তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাসের হলফনামায় তথ্য গোপন করা হয়েছে এবং ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন বিধিমালাতে হলফনামার কোনো ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ নাই।’
তবে কী ধরনের তথ্য গোপন ও ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে জেয়াদ আল মালুম জানান, হলফনামাতে ভুল তথ্য দিয়েছেন, আরেকটা হলো তথ্য গোপন করেছেন। আমরা সবাই জানি, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের ঋণ খেলাপীর কারণে তার নমিনেশন বাতিল হয়েছে। এই তথ্যটি মির্জা আব্বাস তার হলফনামাতে গোপন করেছেন।
আরেকটি হলো হলফনামাতে মির্জা আব্বাস বলেছেন, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস তার কাছ থেকে ৭৩ লাখ টাকা পাবে। অপরদিকে আফরোজা আব্বাস তার হলফনামাতে বলেছেন যে, মির্জা আব্বাস তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা পাবে। ফলে এই যে তার কন্ট্রাডিকশনের বিষয়, প্রকৃত তথ্য এখানে গোপন করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু মির্জা আব্বাস রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আর তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে।
কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৯ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার মনোনয়নপত্র জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাচাই-বাছাই করতে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
