পার্থতে বিভ্রান্ত হয়েছেন রিজভী

জোটের অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ কেন তার আসনে ইভিএম চাইছেন তা বুঝতে পারছেন না বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, জোট নেতার এই দাবি তার বোধগম্য নয়।

বিএনপির দুই জোট ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটগ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের ঘোর বিরোধী। তারা মনে করে, এই যন্ত্রের মাধ্যমে কারচুপি করা সম্ভব।

এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ছয়টি আসনে পুরোপুরি ইভিএমে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা-৬ ও ১৩, খুলনা-২, রংপুর-৩ এবং সাতক্ষীরা-২।

বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় শুক্রবার। সেদিন পার্থ নির্বাচন কমিশনে তার ভোলা-১ আসনেও ইভিএমে ভোট নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি এর জন্য যত খরচ হবে, সেটি বহন করার কথাও জানান তিনি। তার দাবি মানা না হলে সেটি বৈষম্যমূলক হবে- এমন কথাও চিঠিতে তুলে ধরেন তিনি।

শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, ‘২০দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহলে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে। কিন্তু বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ কেন ইভিএম চেয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে জানাতে পারব।’

জনগণ আপনাদের পালাতে দেবে না

ভোটে হারলেও আমরা পালিয়ে যাব না- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আপনারা পালিয়ে যাবেন কীভাবে কাদের সাহেব? জনগণ তো আপনাদের পালিয়ে যেতে দেবে না। আপনাদের দুঃশাসনের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, সরকারি চাকুরেদের আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার অভিযোগও করেন রিজভী।

বিএনপির মুখপাত্রের অভিযোগ, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থে বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসিত সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাদান এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের ভয়ংকর প্রোপাগান্ডায় সয়লাব।’

‘ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্বেষমূলক নানা সুপার ইমপোজ করা ছবি, টেম্পারড নকল অডিও-ভিডিও। মূলত: এইসব নির্জলা মিথ্যাচার, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অশ্লীল রুচিহীন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের ১০ বছরের গুম-খুন- অত্যাচার-নিপীড়ন-জেল-জুলুম-সর্বগ্রাসী লুটপাট ও দু:শাসন থেকে সরকার ভোটারদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস এবং পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন দাবি করে তাদের প্রত্যাহারেরও দাবি জানান রিজভী।

সূত্র: ঢাকাটাইমস