একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ নম্বর কালিহাতী আসন থেকে সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও কেন্দ্রীয় সদস্য সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি শামীম আল মনছুর আজাদ সিদ্দিকী।
বুধবার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অমিত দেবনাথের নিকট তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমাদানকালে লতিফ সিদ্দিকী সরকার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কালিহাতীর মানুষের ভালবাসা ও চাপেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। নেতৃত্ব শূন্যতা দূর করতে কালিহাতীর জনগণ তাদের বিজয় তারাই ছিনিয়ে আনবেন।’ এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালের সংসদ সদস্য ছিলেন।
লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থেকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হন।
ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে হজ্ব ও তাবলিক জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রীসভা, দলীয় পদ থেকে অপসারিত এবং সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি নির্বাচিত হন।
ওই উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণ খেলাপির কারণে তার প্রার্থীতা অযোগ্য ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সোহেল হাজারীকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
কালিহাতীর দুটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার তিন লাখ ১১ হাজার ৮৮ জন । সেখানে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ এবং নারী ভোটার আছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৩ জন।