একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। আসন ভাগাভাগি নিয়ে সরকারবিরোধী শিবিরে দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য। বেশ কয়েকটি আসনে ২০ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির একাধিক হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কয়েকজন। যদিও বিএনপি বলছে, নির্বাচন ভালো ফলেও স্বার্থে জোটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত সবাই।
একদিকে ২০ দলীয় জোট। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মাঝখানে দুই জোটেরই প্রধান দল বিএনপি আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের চাপে।
ঢাকা দুই ও তিন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড। কামাল হোসেনের দল গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। কিন্তু ঢাকা দুই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চারবারের এমপি আমানউল্লাহ আমান। ঢাকা তিন আসন থেকে ধানের শীষের টিকিট চাইছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দুটি আসন নিয়ে হেভিওয়েট ৩ মনোনয়নপ্রত্যাশীর লড়াইয়ে ছিটকে পড়ার ঝুঁকিতে একজন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান জানান, আমি মনে করি দল চিন্তা করেই প্রার্থী বাছাই করবে। কাকে কোথায় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিলে জয়ী হয়ে আসতে পারবে সেদিক বিবেচনা করেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া উচিত।
চট্টগ্রাম চৌদ্দ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান চারবারের এমপি, বিশ জোটের শরিক দল এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ। কিন্তু এই আসন থেকে লড়তে চান গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামীর শামসুল ইসলাম। ত্রিমুখী লড়াই থাকলেও অলি আহমেদকেই এই আসন ছেড়ে দেয়ার আভাস রয়েছে।
এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, এই আসনে শুধু হেভিওয়েট প্রার্থী হলেই হবে না, গ্রহনযোগ্যতাও দেখতে হবে। জনগণের সাথে সম্পর্ক দেখতে হবে। যোগ্যতা থাকতে হবে। যাদের জনগণের সাথে সম্পৃক্তা নেই এমন ব্যক্তিকে তো কেউই ভোট দেবে না।
এ বিষয়ে গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমার বিশ্বাস মনোনয়ন নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব বেশি দরকষাকষি হবে না। আমি ঢাকা ছয় আসন থেকে প্রর্থী হবার আকাঙ্খা প্রকাশ করেছি।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা থাকলেও সব পক্ষেরই ছাড় দেয়ার মানসিকতায় সমস্যা সমাধানে আশাবাদী বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বর্তমান অবস্থা থেকে যেখানে যেটা প্রয়োজন অর্থাৎ এই অবস্থা থেকে মুক্ত হবার জন্য যতখানি ত্যাগ প্রয়োজন সেটা করতে সব পক্ষই প্রস্তুত আছে।
এদিকে, বিতর্কিতদের এড়াতে বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ঐক্যফ্রন্ট আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চিঠি দিবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল