নানককে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া কে এই সাদেক খান?

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নানককে কমবেশি সবাই চেনেন। বিগত টার্মে আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

দশম সংসদ নির্বাচনেও নানক ঢাকা-১৩ আসন (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের আংশিক) থেমে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচত হন। এবারও তিনি এখান থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নানককে পিছনে ফেলে দলীয় মানোনয়ন ভাগিয়ে নিলেন সেই সাদেক খানই।

ঢাকা-১৩ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন তিনি।

নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম তুলতে যাওয়ার সময় নানক ও সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আলোচনায় এসেছিলেন সাদেক খান। প্রভাবশালী নেতা নানককে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন হাতিয়ে আবোরো আলোচনায় সেই সাদেক খান।

আসুন জেনে নেই কে এই সাদেক খান-
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. সাদেক খান বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯৭ সালে সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পেয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের পুরস্কারও।

১৯৯৭ সালে সাদেক খান দু’বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাদেক খান।

আলোচিত ১/১১’র সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে জনতার মঞ্চের সংগঠক হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন সাদেক খান