ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় আসন বণ্টন নিয়ে বিপাকে পড়েছে মহাজোট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম নাকি আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান দাঁড়াবেন, এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
২০০১ সালে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি উন্নয়ন খাত বষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। কিন্তু বিএনপির নাজমুল হুদার কাছে হেরে যান দুই হাজার ৭৭১ ভোটে। হুদা এখন আর বিএনপিতে নেই আর সালমানের নিকটাত্মীয় এখন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আসনটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়, আওয়ামী লীগ এখানে প্রার্থী করে আবদুল মান্নান খানকে আর তিনি ৩৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন বিএনপির আবদুল মান্নান।
তবে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট বর্জনের পরও মান্নান খান জিততে পারেননি। পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ব্যবধানে হেরে যান জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে।
এবার সালমা মহাজোটের প্রার্থী হতে চাইছেন। আর ভোটের প্রস্তুতিতে তিনি ব্যস্ত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু এবার সালমান এফ রহমান নৌকা প্রতীক চাওয়ায় জোটের প্রার্থী কেন হবেন, সেই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আব্দুল মান্নান খান, সাবেক ছাত্রনেতা পনিরুজ্জামান তরুণসহ বেশ কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন নিলেও তারা আলোচনায় নেই।
মহাজোটের ব্যানারে জাতীয় পার্টিকে আসনটিতে ছাড় দেয়া হলে সালমানকে নিরাশ হতে হবে আর সালমানকে দেয়া হলে দূরে থাকতে হবে সালমাকে।
সালমার ছেলে শামীম ইসলাম অবশ্য নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার বাসনায় ফরম নিয়েছেন ঢাকা-১১ আসনের জন্য। মা অথবা ছেলেকে একটি আসনে ছাড় দেয়ার জোর দাবি তুলবেন তারা।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য সালমা ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটা দলের হাইকমান্ডের বিষয়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সব হবে। আমি আমার নির্বাচনী কার্যক্রম করে যাচ্ছি। আজও আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছি।’
সালমান এফ রহমান অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। ফলে তার ভোট ভাবনার বিষয়টি জানার সুযোগ হয়নি।