টানা চারদিন ধরে চলা সাক্ষাতকারে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার আশায় সাক্ষাতকার দিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশী। বুধবার (২১ নভেম্বর) রাত ১০টায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার সম্পন্ন হয়েছে।
পুরো সাক্ষাতকার প্রক্রিয়ায় লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথমদিন থেকে টানা চারদিন তিনি প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা দেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জানা যায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলের নিয়মকানুন ও নির্দেশনা মেনে নিতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকেই মেনে নিয়ে একত্রে কাজ করতে বলেছেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তির বিষয়টিও তারেক রহমান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।
তারেক এর বক্তব্য হলো, এই নির্বাচন হচ্ছে অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এটি গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে জিততেই হবে। প্রতিপক্ষের শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করেই এখানে ধানের শীষকে জিতিয়ে আনতে হবে।
জানা গেছে, প্রতিপক্ষ শক্তির দিক খেয়াল রেখে বিএনপির পক্ষ থেকে এলাকার সেরকম হেভিওয়েট, প্রভাশালীদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে, যারা লড়াই করে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে এমন প্রার্থীই বাছাই করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের গ্রেফতার, হয়রানিকে উপেক্ষা করে জনগণ যে সাড়া দিচ্ছে সে সাড়ায় এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, যে ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে সে জোয়ারকে কেউ রোধ করতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই নির্বাচনকে বিপ্লব হিসেবে দেখছেন। এটি একটি বিপ্লব। আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছি। এটি আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। দেশের গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা অক্ষত রাখার লড়াই। এই নির্বাচনে জিততে হবে।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি ঢালাও অভিযোগ করে না, বিএনপি সুস্পষ্ট ও নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছে। আমরা সব সময় বলেছি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে। এটা তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এবং সেই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে জনগণের কাছে, জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন সেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্খা পুরণ করবেন।
নির্বাচন কমিশন সময় মত দেশের জন্য, জনগণের জন্য ঠিক সময়ে জেগে উঠবেন বলেও প্রত্যাশা করেন মির্জা ফখরুল।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানদণ্ড কি হচ্ছে এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, নিঃসন্দেহে যার দলের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য বেশি থাকবে, যারা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভোটে টিকে থাকার লড়াই করবে সেসব প্রার্থীরাই এখানে নমিনেশন পাবে।
বেশিরভাগ প্রার্থী আমাদের এই বিষযটির প্রতি একমত, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবে।–শীর্ষখবর