দারুণ সুখবর, মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত

স্বল্প ব্যয়ে শিগগিরই কর্মী নিয়োগ শুরু করবে মালয়েশিয়ায়। কর্মী নিয়োগে নতুন কোনো সিন্ডিকেট হবে না। সবার জন্য কর্মী নিয়োগের দুয়ার খুলে দেয়া হবে।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মালয়েশিয়ার ছয় সদস্য বিশিষ্ট জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে দ্বিতীয় দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে প্রবাসী সচিব রৌনক জাহান এ কথা বলেন।

এ সময় উভয় দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএমইটির মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর পিএস মো. আবুল হাছানাত হুমায়ূন কবির ও কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের শ্রম সচিব মো. সাইদুল ইসলাম।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রবাসী সচিব রৌনক জাহান আর সফররত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মালয়েশিয়ার হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রণালয়ের পলিসি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি এম ডি এম বেট্টী হাসান।

সচিব রৌনক জাহান বলেন, নতুন পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় দ্রুত জনশক্তি রফতানি শুরু হবে। মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদা মতো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশটির নিয়োগকর্তারাও দ্রুত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চাচ্ছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী সচিব বলেন, ‘কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে সত্যায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষই একমত হয়েছে।’

এর আগে সকালে সফররত প্রতিনিধি দল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মন্ত্রী সফররত প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভ্রাতৃ-প্রতীম মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। সফররত প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ থেকে নতুন পদ্ধতিতে কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া জি টু জি প্লাসের আওতায় অপেক্ষমাণ মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে পাঠানোর জন্য সময় বাড়ানোরও আলোচনা চলছে বলেও জানান গেছে।