টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে সাকিব যা ভাবছেন

১ আগস্ট শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ সেন্ট কিটসে। বাকি দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়

ক্রিস গেইল হচ্ছেন টি-টোয়েন্টির ব্র্যাডম্যান। ২০ ওভারের ক্রিকেটের ব্যাটিংয়ের বাঘা বাঘা সব রেকর্ড তাঁর দখলে। ৩৩৫ ম্যাচে ১১ হাজার ৪৫৪ রান করেছেন। ২১টি সেঞ্চুরি, ৭০টি ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে আর কারও ১০ হাজার রানই নেই। গেইলের ২১ সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির সংখ্যাটি ৭! গেইলের ব্যাটে এসেছে তিন গুণ বেশি সেঞ্চুরি।

এসব রেকর্ড অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে। ৩৯ বছর বয়সী গেইল আগামী বিশ্বকাপ লক্ষ্য রেখে খেলে যাচ্ছেন এখনো। ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন। টেস্ট খেলেননি চার বছর ধরেই। খুব সম্ভবত থাকছেন না টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজে টি-টোয়েন্টিতে গেইলের সঙ্গে একদলে খেলেছেন। খেলেছেন প্রতিপক্ষ হিসেবেও। গেইলের না থাকা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘ওর মতো খেলোয়াড় যে দলে থাকে, তাদের বিরাট সুবিধা, না থাকলে বিরাট অসুবিধা। আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হবে যদি সে না খেলে।’

তবে সাকিব মনে করেন, গেইল আসল বিপদ নন বাংলাদেশের জন্য, ‘ওয়ানডেতে যেহেতু ওদের বিপক্ষে ভালো বল করে আসছি, বোলারদের ভালো আত্মবিশ্বাস থাকবে, ওদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করতে পারি। ওদের দলের দিকে যদি তাকান, যত নাম বলবেন, বেশির ভাগই ভয় পাওয়ার মতো।’

ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের দাপট ছিল স্পষ্ট। দ্বিতীয় ম্যাচটা জিততে জিততে ৩ রানে হেরে না গেলে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জাটা ফিরিয়ে দিতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু এবার খেলা টি-টোয়েন্টিতে। টি-টোয়েন্টি মানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অন্য রকম। বাংলাদেশও অন্য রকম দল হয়ে যায়, সেটি নেতিবাচক অর্থে। তবে সাকিব আত্মবিশ্বাসী, ‘ওরাও খেলোয়াড়, আমরাও খেলোয়াড়। দিনশেষে ব্যাট-বলের খেলা। চেষ্টা থাকবে যে শুরুটা ভালো করতে পারি আর ছন্দটা ধরে রাখতে পারি। টি-টোয়েন্টিতে একবার ছন্দ হারিয়ে ফেললে ফিরে পাওয়া কঠিন। এত ছোট সংস্করণ, একবার ছিটকে পড়লে ফিরে আসাটা কঠিন।’

টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি

তারিখ
ম্যাচ
১ আগস্ট , সকাল সাড়ে ৬টা
১ম টি-টোয়েন্টি, সেন্ট কিটস
৫ আগস্ট, সকাল ৬টা
২য় টি-টোয়েন্টি, ফ্লোরিডা
৬ আগস্ট, সকাল ৬টা
৩য় টি-টোয়েন্টি, ফ্লোরিডা