জার্মানিতে প্রকৃতি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা অনেক শিক্ষার্থীর জীবনই বদলে গেছে। বাধ্যতামূলক শিক্ষা শেষ এবং ২৭ বছর বয়সের নীচে এমন শিক্ষার্থীদের প্রকৃতি ছাড়াও সামাজিক কোনো ক্ষেত্রে বা পরিবেশগত ক্ষেত্রেও একবছর কাজ করার সুযোগ আছে। পরবর্তীতে এ ক্ষেত্রগুলোকে পেশা হিসেবেও বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। এটাকে স্বেচ্ছাসেবী কাজ বলা হলেও শিক্ষার্থীরা এজন্য অর্থও পেয়ে থাকে। এ বিষয়ে জানতে ডয়চে ভেলের কারিন একটি তরুণ স্বেচ্ছাসেবী দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন।
দলটির এক স্বেচ্ছাসেবী ইউলি বললেন, আমরা কেবল যে বিলুপ্ত উদ্ভিদদের চিনতে শিখি তাই নয়, কিছু বিলুপ্ত প্রায় উভচর প্রাণীদেরও চিনতে শিখি। এমন কোনো উভচরের সন্ধান পেলে তাদের এমন পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে তারা প্রজনন করতে পারে। শুধু তাই না স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে অসম্ভবভাবে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তারা প্রাণী হত্যা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ওই দলটির দল নেতা ব্যোরন জানালেন, যখন আমি কোনো সাপ দেখি সেটাকে সৌভাগ্য মনে করি।
এক স্বেচ্ছাসেবী জানালেন, বাণিজ্যিক খামার তৈরিতে তিনি আগ্রহী নন। বরং তিনি চান প্রকৃতিকে রক্ষা করতে। হাতে কলমে যে শিক্ষা তারা পাচ্ছেন সেটা ভোলবার নয়। এই দলের প্রত্যেকেরই মনে হয়, প্রকৃতিকে রক্ষায় তাদের কিছু না কিছু ভূমিকা রয়েছে। এই উদ্দীপনা তাদের কাজের উত্সাহ আরও বাড়িয়ে দেয়। যেমন এই দলের সদস্য টিম বললেন, নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আমি এখান থেকে প্রচুর জেনেছি, যা স্কুলে থাকাকালীন আমি কখনো শিখিনী।
দলটির সদস্য ইউলি জানালেন, এই কর্মসূচিতে অংশ নেই তখন রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু এখন নিজেকে অনেক প্রাণোচ্ছল মনে হয়। এমন কি সপ্তাহ শেষেও আমার অনেক কাজ করতে ইচ্ছে করে। কারিন জানান, এক বছর পর এই কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবে। সেটা ভাবতেই অনেকের মন কিছুটা খারাপ হয়ে যায়। তবে তারা এটা ভেবে খুশি যে, জীবনের নতুন একটা অধ্যায় তারা শুরু করতে যাচ্ছে।