কলেজের শুরু থেকেই ফিন্যান্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিলাম, কারণ শুরু থেকেই বিষয়টির প্রতি একটা ভালোলাগা কাজ করত। তাই তখনই লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলাম ফিন্যান্স নিয়ে পড়ার। এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিল। তাই আমি বলব, সবারই উচিত নিজ পছন্দমতো বিষয় নিয়ে পড়ার চেষ্টা করা। তবে সারাদিন পড়তে আমার পছন্দ হতো না একদমই। এমনিতেই স্বল্প সময়, তার ওপর সারাদিন পড়লে আস্তে আস্তে আয়ত্ত করা বিষয়সমূহও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই পরিকল্পনামাফিক সময়কে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে একেকটি বিষয় পড়তাম এবং তার সাথে লেখার অভ্যাসও করতাম, যা আমাকে পড়া মনে রাখতে খুবই সহযোগিতা করত। আমার মতে ভালো করতে হলে পরিকল্পনামাফিক কাজ করার বিকল্প নেই। তবে আমার মতে ভালো করার সবচেয়ে বড় বাধা হলো মনোবল হারিয়ে ফেলা, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ভিতর থেকে শেষ করে দেয়। আমার দেখা অনেক শিক্ষার্থীই বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় খারাপ করার পর হাল ছেড়ে দিয়েছিল, যা কখনোই উচিত নয়। কারণ জীবন কখনো মাত্র একটি সুযোগ দেয় না, তাই প্রতিটি সুযোগের জন্যই নিজেকে তৈরি রাখা উচিত। তবেই সফল হওয়া সম্ভব। তাই যাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে তাদের উচিত ভেঙে না পড়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। নিজের পছন্দের ব্যক্তিত্ব, কাছের মানুষ এবং আরও অনেকের কাছ থেকেই প্রেরণা নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদেরও উচিত নিজের সন্তানদের পাশে থেকে প্রেরণা জোগানো। একটু প্রেরণাই পারে এদের সেরাটা বের করে আনতে। এছাড়াও পরীক্ষার আগে নিজেকে যতটা সম্ভব যোগ্য করে তোলা উচিত। কারণ সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাটা নিজের সাথেই, নিজেকে আরও ভালো করে তোলার মাধ্যমেই মনে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়। তাই শুধু পরীক্ষায় ভালো করাই নয়, বরং এমনভাবে পড়া উচিত যাতে নিজেকে আরও যোগ্য করে তোলা যায়। সবশেষে আমি এটাই বলব যে, সবারই উচিত নিজেদের ইচ্ছাকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলা, কারণ পিছিয়ে গেলে কখনই সাফল্য ধরা দেয় না। তাই আমার আহ্বান, হাল না ছেড়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে লক্ষ্যের পানে ছুটে যাওয়ার। আশা করি, জীবনে সাফল্য আসবেই।
‘বিশ্বাস থাকুক হূদয়ে, বিজয় সুনিশ্চিত’
—আরমান রেজা জয়, চতুর্থ বর্ষ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিবছর এই সময়টায় লাখো তরুণ স্বপ্ন বুনেন। সত্যি বলতে, তোমাদের স্বপ্ন পূরণটা কিন্তু কঠিন নয়, যতটা তোমার মনে হচ্ছে বা অনেকে যেভাবে বর্ণনা করে থাকে। তবে হ্যাঁ, সেজন্য তোমাকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে ও সঠিক পথে যাত্রা শুরু করতে হবে একাগ্রচিত্তে। এককথায় একটি ‘ক্লোজ টার্গেট’ প্রয়োজন। আমার লেখার মাধ্যমে তোমার সঠিক সিদ্ধান্ত ও পথটি খুঁজে নিতে সাহায্য করার চেষ্টা করব। মানুষ গল্প বলার ইচ্ছা সংবরণ করতে পারে না! তাই শুরুতে আমার স্বপ্নপূরণের গল্পটা সংক্ষেপে বলি। আমার লক্ষ্য ছিল বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো বিষয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং, অন্যদিকে জিপিএ স্কোর ছিল কম। যখন আমার ক্লোজ টার্গেট নির্ধারণ করি, তখন মাত্র ৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাই যেখানে আমি আমার স্বপ্নপূরণের যাত্রী হতে পারি। বর্তমানে আমি তার একটিতেই পড়াশোনা করছি। কম জিপিএ স্কোর সত্ত্বেও শুধু ক্লোজ টার্গেট ছিল বলেই তা সম্ভব হয়েছে। প্রথমত, নিজের ভালোলাগার ক্ষেত্রকেই লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করো। পারিবারিক দিক থেকে কিছুটা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে অনেককেই। নিশ্চিতভাবেই পরিবার আমাদের সবচেয়ে আপন; তাদের তোমার ভালোলাগা ও স্বপ্নটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করো। তোমার স্বপ্নটাও যে সম্ভাবনাময় তা বুঝিয়ে বলো। আমি আশাবাদী, তুমি তোমার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে। লক্ষ্য অবশ্যই যেন কোনো ক্ষেত্র বা বিষয় হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। আমি তোমাকে একটু সাহায্য করতে পারি। তোমার সামনে আটটি ক্ষেত্র উপস্থাপন করছি, যার মধ্যে একটিকে স্বপ্ন হিসেবে নির্ধারণ করতে পারাটা সর্বোত্তম। আর তিনটির বেশি ক্ষেত্র তোমার সফলতার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দিবে। ক্ষেত্রগুলো হলো—বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, বিবিএ, আইন, ইতিহাস-সংস্কৃতি-রাষ্ট্র-সমাজ, ভাষা ও সাহিত্য, সাংবাদিকতা-নাট্যকলা-চারুকলা বা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়। এ পর্যায়ে তোমাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমার নির্ধারিত ক্ষেত্রে ভর্তি হতে যোগ্যতাসমূহ, বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা ও বাছাইপদ্ধতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তোমার জিপিএ স্কোর, ভর্তি-পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনাপূর্বক নিজের জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্ধারণ করে ফেলো। বাহ! এখন তোমার একটি ক্লোজ টার্গেট বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি হয়েছে। এখন শুধু সঠিক পথটি অনুসরণ করা প্রয়োজন। পথের নকশাটাও প্রায় সম্পন্ন করেছ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছিলে। এবার সে অনুসারে তোমার যেই বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে সেগুলো নিয়ে পড়াশোনা শুরু করো। পূর্বের পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বারবার দেখো। নিজের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা পরিমাপ করো। এতে করে কোন বিষয়টিতে কতটা শ্রম দিতে হবে বুঝতে পারবে। কিছুদিন পরপরই নিজের এই দক্ষতা নিরীক্ষণ করে নতুন উদ্যমে এগোতে থাকো। পড়া আয়ত্ত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কের কাজের ধরন ভিন্ন। তাই নিজের জন্য উপযোগী পদ্ধতিতে পড়াশোনা করো। নিজের উপর পূর্ণবিশ্বাস রাখো। এটিই তোমাকে সফলতায় পৌঁছে দিবে। বিশ্বাস রাখো হূদয়ে, বিজয় সুনিশ্চিত।
‘সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে’
—মাকসুদুর রহমান, চতুর্থ বর্ষ, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তরুণ প্রজন্ম যেকোনো দেশের আর্থ-সামাজিক তথা শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যেকোনো দেশের অগ্রগতি ও প্রগতিতে সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসে এই তরুণ সমাজ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম তেমন একটা লক্ষ করা যায় না। এই তরুণ প্রজন্ম বলতে বোঝানো হচ্ছে শিক্ষিত তরুণ ও যুবকদের। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বুঝানো হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো শিক্ষার্থীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণরা একসময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চায়। একজন শিক্ষিত তরুণের ভবিষ্যত্ ক্যারিয়ার কী হওয়া উচিত বা কী ধরনের ক্যারিয়ার তার হতে পারে, তা অনেকটা এই সময়ে নির্ধারিত হয়ে উঠতে পারে। কেউ চায় বিসিএস ক্যাডার হতে, কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউবা ব্যাংকার হতে চায়, আবার কেউ কেউ হতে চায় মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক। ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার হিসেবে এ সমস্ত পেশাগুলো ছাড়া আরও রয়েছে সরকারি বিভিন্ন আকর্ষণীয় পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে সমাজে এমন কোনো শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া দুর্লভ হবে, যে কিনা মাধ্যমিক কিংবা নিম্নমাধ্যমিকে তার জীবনের লক্ষ্য লিখতে গিয়ে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেনি। ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যৌক্তিক হতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হলো সবাই যদি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে অন্যান্য সেক্টরের বা অন্যান্য পেশায় কাজ করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় থেকেই একজন শিক্ষার্থীকে ঠিক করে নিতে হবে সে কী হতে চায়? কিংবা তার আশা আকাঙ্ক্ষা কী? এছাড়া তার গৃহীত সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক কি না এ সমস্ত বিষয় তার বিবেচনাধীন রাখা উচিত। তার ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার সাথে মিল রেখেই তাকে সে অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করা উচিত। তবে যেহেতু বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত, সেক্ষেত্রে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে না পারলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সেটাকেই জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ধরে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। আপন মহিমায় ও উদ্দীপনায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো বিষয় থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষ করে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়। সেক্ষেত্রে নিজের ওপর আত্ম বিশ্বাস রাখাটা সবচেয়ে জরুরি। একজন বিশ্ববদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মনে হয়, যিনি যে বিষয়ে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর করছেন, সেই বিষয়কে সেরা বিষয় বলে মনে করা উচিত। তবেই নিজের প্রতি এবং নিজের বিষয়ের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা বাড়বে। এতে করে পড়ালেখায় অধিক মনোযোগী হওয়া সম্ভব। বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে যেকোনো শিক্ষার্থীর একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি তার ক্যারিয়ার রিলেটেড বিভিন্ন বই, জার্নাল, প্রকাশনা ইত্যাদি পড়া উচিত। পাশাপাশি তাকে দখলে রাখতে হবে দেশ, বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ কিংবা সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে এবং এগুলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করা উচিত। এতে করে তার জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে এবং তাকে ভবিষ্যত্ ক্যারিয়ারে সফল হতে সাহায্য করবে। একটা ব্যাপার মোটামুটি সকলেই মানেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের সময়ই যেকোনো শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এ সময়ই তাকে ঠিক করে দেয় তার ক্যারিয়ার কী হতে পারে। সুতরাং এই সময়ের উপযুক্ত ব্যবহারই একজন শিক্ষার্থীকে তার ভবিষ্যত্ জীবনের পথের দিকনির্দেশনা খুঁজে পেতে সহায়তা করে। আর তাই নিঃসন্দেহে এটা বলা যায় যে, ভালো ও আকর্ষণী ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে যেকোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
‘সিদ্ধান্তের বোঝাপড়া ঠিক করে নিতে হবে’
—আলী ইউনুস হূদয়
চতুর্থ বর্ষ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চশিক্ষার সঙ্গে ক্যারিয়ারের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমাদের ক্যারিয়ার ভাবনা ঠিক করতে হয়। আর সে ভাবনা জীবনের সবর্ত্রই প্রভাব বিস্তার করে। কিছুদিন আগেই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও অনেক শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়েছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য কিংবা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারিনি। যারা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়েছে, তারা সকলেই ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রস্তুতি শেষে অংশ নিতে হবে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাশিত বিভাগে ভর্তি হওয়ার লড়াইয়ে। সে লড়াইয়ে মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরাই সফল হয়ে প্রত্যাশিত বিভাগে ভর্তি হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি বৃহত্ অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ অর্জন করতে পারবে না। ভর্তিচ্ছুদের মতোই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। তবে এর পিছনে প্রস্তুতি গ্রহণে বিভ্রান্তির গল্প রয়েছে। তবে যে পাঠকরা আমার এই লেখাটি পড়ছেন তাদের আগে থেকেই আশ্বস্ত করছি লেখাটি পড়ে আপনি বিভ্রান্ত হবেন না। এসএসসি ও এইচএসসি বাণিজ্য শাখা থেকে পাস করি। স্কুল শিক্ষকের পরামর্শেই বাণিজ্য শাখায় পড়েছি। এইচএসসির ফল প্রকাশের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিংয়ে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হই। মাসখানেক পর বাণিজ্য শাখার পাশাপাশি সমন্বিত (মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান) শাখার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আগ্রহ জেঁকে বসে। পড়ার টেবিলে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিগত বছরের ভর্তি নির্দেশিকা পড়ে সে আগ্রহ রীতিমতো স্বপ্নে পরিণত হয়। যদিও সে আগ্রহ বরাবরই আবেগের খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছুই ছিল না।