দিন দিন নিজেকে ছাড়িয়ে গ্রেট ব্যাটসম্যানদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন তামিম।আবারও ঝকঝকে সেঞ্চুরি এলো তামিমের ব্যাট থেকে। ১২০ বলে স্টাইলে এদিন সেঞ্চুরি পূরণ করলেন এ মারকুটে ওপেনার।
কিন্তু অপর ওপেনার? এনামুল হক বিজয়, দলকে বড্ড ভোগালেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। টানাই ব্যর্থ তিনি। প্রথম ম্যাচে ০, পরের ম্যাচে ২৩ এবং আজ সেন্ট কিটসে তার ব্যাট থেকে এলো ৩০ বলে ১০! ৫০ ওভার ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ৩০ বলে ৪০-৪৫ করেন অনেকেই। সেখানে টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে বিদায় নিলেন বিজয়। সহসা কি জাতীয় দলে ফিরতে পারেন তিনি?
আবারও দলের হাল ধরতে হলো তামিম ইকবালকে।আজও সঙ্গে পেলেন সেই সাকিবকে।প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ২০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন তারা। ওই ম্যাচে ১৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম। ৩ রানের হারের ম্যাচেও দলকে ভালো সার্ভিস দেন তামিম।সাকিবের সঙ্গে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন, আর নিজে করেছিলেন ৫৪।
সেন্ট কিটসে শেষ ওয়ানডেতেও জ্বলে ওঠেন এ ড্যাশিং ওপেনার। বিজয়ের বিদায়ের পর এদিনও সাকিবের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন তামিম। ৩৭ রানে বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়েন যান সাকিব।
হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর আরও হাত খুলে খেলতে থাকেন তামিম। অর্ধশত করেছিলেন ৬৬ বলে। আর সেঞ্চুরি আসলো ১২০ বলে। সেঞ্চুরির পরপরই অবশ্য ফিরে গেছেন তামিম, ১২৪ বলে ১০৩ রান করে।
ওয়ানডেতে এটা তামিমের ১১তম সেঞ্চুরি। তাহলেও আজও কি জিততে চলেছে বাংলাদেশ? তামিমের যা পরিসংখ্যান তাতে সেই সম্ভাবনাই জানান দিচ্ছে। এর আগে যে ১০ বার সেঞ্চুরি করেছেন তার মধ্যে সাত ম্যাচেই কিন্তু জিতেছিল বাংলাদেশ।
গত তিন বছর ধরে দারুণ ধারাবাহিক তামিম।গত ২০ ইনিংসের মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি, আর সেঞ্চুরি ৩টি। বারবার দলের হাল ধরেছেন তিনি। দীর্ঘ সময়ে তামিমের একজন যোগ্য সঙ্গী এখনও পায়নি বাংলাদেশ।২০১৫ বিশ্বকাপের পর মনে করা হয়েছিল, তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে থিতু হতে পারবেন সৌম্য সরকার। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটা ইনিংস ছাড়া ভয়াবহ ব্যর্থতার পরিচয় দেন সৌম্য সরকার। লিটন, ইমরুল কায়েস কেউই তামিমের সঙ্গী হিসেবে স্থায়ী হতে পারেননি।
তামিম একের পর এক বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছেন, দলের জন্য বিরাট স্বস্তির বিষয়। তবে ওপর ওপেনারের টানা ব্যর্থতা একই সঙ্গে চিন্তার কারণও বটে।