অবশেষে বোধোদয় হয়েছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি)। ওজিল ইস্যুতে ভুল স্বীকার করেছেন সংস্থাটির প্রধান রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল। তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে এতদূর জল গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি।
বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ এনে সদ্যই জার্মানি জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন ওজিল। এর পর থেকে তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছেন গ্রিন্ডেল। এ পরিস্থিতির জন্য তাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ডিএফবিপ্রধান বলেন, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমাদের উচিত ছিল শুরুতেই এর নিষ্পত্তি টানা।
বিশ্বকাপের আগে গেল মে মাসে লন্ডনে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। ওই সময় এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরেক তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইকায় গুন্দোগান। মুহূর্তেই তাদের সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি জার্মানরা।
তুরস্ক ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বিপাকে পড়েন ওজিল। জার্মান গণমাধ্যম রীতিমতো তার ওপর মানসিক অত্যাচার করে। তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত না করতে জোরালো দাবি জানায়। তা সত্ত্বেও দলীয় স্বার্থে ২৯ বছরের মিডফিল্ডারকে স্কোয়াডে রাখেন কোচ জোয়াকিম লো।
তখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। বিপত্তিটা বাধে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে জার্মানি বিদায় নিলে। ফের রোষানলে পড়েন ওজিল। মুহুর্মুহু বর্ণবাদী গালির শিকার হন। একপর্যায়ে মৃত্যুর হুমকি পান। শেষ পর্যন্ত বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ এনে জার্মানিকে বিদায় জানান তিনি।
তবে ভুল স্বীকার করলেও বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গ্রিন্ডেল- জার্মানিতে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। ফুটবলে তো নেই-ই। আমরা তাকে কখনও অসম্মান করিনি। ফেডারেশন সবসময় তার জাত ও ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়েছে। দৃঢ়চিত্তে ওজিলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি।