শালিখায় এক আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে রেজাউল নামক এক যুবক। সৌদি আরবে পাঠানোর দোহায় দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছে আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। প্রায় ১০ বছর ধরে পথে পথে ঘুরেও বিদেশে যাওয়া হয়নি রেজাউলের। অবশেষে রেজাউলের মামা শালিখার কুশখালী গ্রামের আবুতালেব বিশ্বাস মাগুরা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা নং শালিখা সি.আর ৯৭/০৬। আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দামুদারপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের সফিউল্লাহর ছেলে। এদিকে কুশখালী গ্রামের আবুতালেব বিশ্বাস এর ভাগনে রেজাউল ইসলাম হচ্ছে পাশর্^বর্তী যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ চাঁন্দপুর গ্রামের আয়ুব হোসেনের পুত্র। শালিখার কুশখালী গ্রামে আত্মীয় বাড়ি থাকায় সেখানে আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসার সুবাদে পরিচয় সবার সঙ্গে। আদম ব্যাপারী সিরাজ জানায় বিদেশে চাকরি দিয়ে লোক পাঠানোর জন্য ট্রাভেলস এজেন্সির লাইসেন্স করেছি। এলাকায় শিক্ষিত বেকার যুবক থাকলে সৌদি আরবে পাঠাতে পারি। এক পর্যায়ে কুশখালী গ্রামের আবুতালেব বিশ্বাস এর ভাগনে রেজাউল ইসলামকে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য ৯০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা স্বাক্ষীদের সামনে বুঝে দেন।
বাকি ৪০ হাজার টাকা বিগত ২১/০৯/৯৭ইং এরিয়ান ট্রাভেলস-ঢাকা এর মালিক আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে বুঝিয়া দেন। কথা হয় ৩ মাসের মধ্যে রেজাউল ইসলামকে সৌদি আরবে অবশ্যই পাঠিয়ে দেবে। যদি না পাঠাতে পারে তবে ক্ষতিপূরণসহ এক লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক কাল পার হলেও বিদেশে যাওয়া হয়নি রেজাউলের। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অনেক দেন দরবার করেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ টাকা ফেরত দেবে না, যা খুশি তাই করতে পার বলে জানিয়ে দেয়। উপায়ান্ত না পেয়ে কুশখালী গ্রামের আবুতালেব বিশ্বাস কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ৯ বছর ধরে আবুতালেব বিশ্বাস তার স্বাক্ষীদের নিয়ে কোর্টে হাজিরা দিয়ে আসলেও আসামিপক্ষের ৪ জনের ১ জনও ১ দিনের জন্যও হাজিরা দেননি। ফলে মামলাটি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েই গেছে। এমতাবস্থায় সরল বিশ্বাসে গ্রামের আত্মীয়তার সুবাদে নগদ টাকা আদম ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে বুঝে দিয়ে আজ অবধি ফেরত না পেয়ে আবু তালেব বিশ্বাস দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উঃস: thesangbad.net