নিরন্তর চোটের সঙ্গে লড়ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে হয়ে পড়েছেন অনিয়মিত। সে কারণেই হয়তো ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে দেখেন না ডেল স্টেইন।
সেরা সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন। ৩৫ বছর বয়সে এখন তাঁর লড়াই চলে চোটের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে তাঁর শিকার মাত্র ২ উইকেট। এই সফরে প্রোটিয়াদের ওয়ানডে স্কোয়াডেও তাঁর জায়গা হয়নি। তাহলে ডেল স্টেইন কি নিজের শেষ দেখে ফেলেছেন? হয়তো পুরোপুরি নয়, কিন্তু কিছুটা শেষ তো দেখছেনই। সে কারণেই নিজে থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আর সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলবেন না এই প্রোটিয়া পেসার।
তার মানে দেশের হয়ে টেস্টে আরও বেশ কিছু দিন খেলার ইচ্ছা আছে ডেল স্টেইনের। আগামী বছরের ৩০ মে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের তিন দিন আগে ছত্রিশে পা রাখবেন স্টেইন। নিজের অভিজ্ঞতার কারণেই ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ দলে থাকবেন—এমন প্রত্যাশা অবশ্য তিনি করেনই।
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ শেষে দেশে ফেরার পথে মুম্বাইয়ে একটি বিজ্ঞাপনী প্রচার অনুষ্ঠানে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন স্টেইন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের চেষ্টা করব। কিন্তু বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নিজেকে সাদা বলের ক্রিকেটে আর দেখছি না। পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে আমার বয়স চল্লিশ হবে।’
গত তিন বছর ক্রমাগত চোটের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে স্টেইনকে। এতে দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন ৮৮ টেস্টে ৪২১ উইকেট নেওয়া এ পেসার। কিন্তু তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন স্টেইন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকালে দেখবেন শীর্ষ ছয়জন প্রায় হাজার খানেক ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু শেষ দিকে—আট থেকে এগারো, যাঁরা এখনো খেলছে—দেড় শ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও নেই। এখানে অভিজ্ঞতার দরকার। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে এটাই আমার তুরুপের তাস হবে বলে আশা করছি।’