২০১২ সালে ভারতের ইংরেজি ভাষার ম্যাগাজিন ‘দ্য ক্যারাভান’ ইমরান খানের এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সেখানে নিজের রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন ইমরান খান। ওই সাক্ষাৎকারেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছিলেন ইমরান খান।
ইমরান খান বিশ্বাস করতেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা কেবলই ‘প্রপাগান্ডা’। তাঁর ধারণা ছিল, এটা ‘কিছু ভারত সমর্থিত বিদ্রোহীদের’ কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে ঢাকায় এসে ভুল ভাঙে তাঁর। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বুঝতে পারলাম, এখানে আন্দোলন (সেপারেটিস্ট মুভমেন্ট) চলছে। পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটছে, আমরা এর কিছুই জানতাম না।’
ইমরান খান জানান, ক্রিকেটের এক সফরে ১৯৭১ সালের মার্চে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ১৮। তিনি আরো জানান, ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু হওয়ার আগে শেষ ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকা ত্যাগ করেন।
ইমরান খান ঢাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। “‘ছোট, কালো। এদের হত্যা করো। তাদের একটা শিক্ষা দাও।’ এসব কথা বলা হচ্ছে, আমি তা নিজের কানে শুনেছি।”
ইমরান বলেন, ‘একই ধরনের ভাষা এখনো শুনি আমি; পশতুনদের বেলায়। পিন্ডি, লাহোর, করাচিতে পশতুনদের ধরে জেলে ঢোকানো হয়। তাদের দোষ, তারা পশতুন।’
১৯৭১ সালের গণহত্যা প্রসঙ্গ টেনে ইমরান খান ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হলে আবার এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মূলত পশতুন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। ২০০১ সালের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ পশতুনরা নির্যাতনের শিকার হয়। একাধিক গণমাধ্যম একে ‘পশতুন গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ২৭২টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৩টি আসন পেয়েছে পিটিআই। এরপরই আছে মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। তবে দলটি পেয়েছে ৬৪টি আসন। ধারণা করা হচ্ছে, ইমরান খানই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।