সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ গত বছরই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বাদশাহর ছেলে মুহাম্মদ বিন সালমান। ৩২ বছর বয়সী তরুণ যুবরাজ এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। কেউ কেউ এসব সংস্কার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতা সুসংহত করার লক্ষ্যে এসব সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিনের রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে নানা সংস্কার উদ্যোগ সৌদি আরবের অগ্রগতির জন্য কতটুকু সহায়ক তা এখন দেখার বিষয়।
আসলে সৌদি আরব কোন পথে যাচ্ছে? রাজতন্ত্রের আবরণে যেসব সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা কি গণতন্ত্রের পথে যাত্রা, নাকি মানুষের ভেতরের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষাকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করে প্রকারান্তরে রাজতন্ত্রকেই টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ? বরাবরই সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক চমৎকার ছিল। মার্কিন বলয়ের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো শাসনব্যবস্থাই নিরাপদ নয়। এদিকে অতীতের তুলনায় বর্তমান সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। উন্নত এ সম্পর্কের ওপর দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বড় অস্ত্র ব্যবসা করছে সৌদি আরবে।
এদিকে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, দুর্নীতির মূলোৎপাটন এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সৌদি আরব টিকে থাকতে পারবে না, তাই তিনি দুর্নীতিরোধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এমন বক্তব্যের পর গত এক বছরে দেশটিতে দুর্নীতির অভিযোগে ১১ জ্যেষ্ঠ যুবরাজ, কয়েকজন প্রথম সারির ধনী ব্যক্তি এবং কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীসহ ২০ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আরেক যুবরাজ আল-ওয়াহিদ বিন তালালও আছেন।
ধর্মীয় আচার ও সামাজিক রীতিনীতি পরিবর্তনের বিষয়েও যুবরাজ বিন সালমান বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সৌদি নারীরা গাড়ি নিয়ে রাজপথে নেমেছে, যা আগে চিন্তাও করা যেত না। যুবরাজ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সৌদি নারীরা খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যেতে এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে। প্রায় ৪০ বছর পর সৌদি নারীরা স্টেডিয়ামে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সৌদি যুবরাজের ভাষায়, ‘নারী-পুরুষ উভয়ই সৃষ্টিকর্তার তৈরি। স্বার্থান্বেষী মহল নারী-পুরুষে ভেদাভেদ টেনে রেখেছে।’ ১৯৭৯ সালের আগে উপসাগরীয় অন্যান্য দেশের মতোই স্বাভাবিক জীবন ছিল সৌদি নাগরিকদের। নারীরা গাড়ি চালাত, সিনেমা-নাটক দেখত, সবরকম কাজকর্মে অংশ নিত। দেশটির চরমপন্থিরা নারী-পুরুষের মেলামেশা নিষিদ্ধ করে এবং কর্মক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। চরমপন্থিদের এসব কর্মকাণ্ড নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও খলিফাদের শাসনামলের সমাজব্যবস্থার সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ নয়। যুবরাজ মনে করেন নারীরা পুরুষদের মতোই শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরবে। এর অর্থ এই নয় যে, নারীদের একটা কালো আবরু আর মাথা ঢাকার জন্য কালো কাপড় ব্যবহার করতে হবে। নারীরা কী পোশাক পরবে, সেটা সম্পূর্ণ নারীদের সিদ্ধান্ত।
হঠাৎ করেই কি সৌদি যুবরাজ এমন সব বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন? প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সময় থেকেই সংস্কারমূলক কাজ শুরু হয়। আগে নারীদের পরিচয়পত্র প্রদানের কোনো রীতি ছিল না। ২০০১ সালে নারীদের জন্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়। ২০০১ সালে ঘোষণা দেওয়া হয় সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই পরিচয়পত্র নিতে পারবে। বিয়ের ক্ষেত্রেও সৌদি নারীদের কোনোই স্বাধীনতা ছিল না। এমনকি বিয়ের বিষয়ে সৌদি নারীদের মতামতেরও কোনো গুরুত্ব ছিল না। ২০০৫ সালে নারীদের অমতে বিয়ে দেওয়া নিষিদ্ধ হয়। ২০০৯ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় সরকারে প্রথম নারী মন্ত্রী নিয়োগ করেন। নূরা আল কায়েজ নারীবিষয়ক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সে বছর সরকারে যোগ দেন।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নেয় সৌদি নারীরা। তাদের মধ্যে সারাহ আত্তার নারীদের ৮০০ মিটার দৌড়ে লন্ডন অলিম্পিকের ট্র্যাকে নেমেছিলেন হিজাব পরে। আসর শুরুর আগে নারীদের অংশগ্রহণ করতে না দিলে সৌদি আরবকে অলিম্পিক থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ২০১৩ সালে এসে সাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পায় সৌদি নারীরা। তবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ইসলামি রীতিতে পুরো শরীর ঢেকে কোনো পুরুষ আত্মীয়ের উপস্থিতিতে তা চালাতে হতো। এ বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে বাদশাহ আবদুল্লাহ সৌদি আরবের রক্ষণশীল কাউন্সিল ‘শুরা’য় প্রথমবারের মতো ৩০ নারীকে শপথবাক্য পাঠ করান।
২০১৫ সালে সৌদি আরবের পৌরসভা নির্বাচনে নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। ওই নির্বাচনে ২০ নারী নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারপারসন হিসেবে সৌদি নারী সারাহ আল সুহাইমির নাম ঘোষণা করে আরেক ইতিহাস রচনা করা হয়।
সম্প্রতি যুবরাজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সৌদি আরবে। এ সম্মেলনে দেশটিকে আধুনিক করার লক্ষ্যে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে সৌদি আরবের ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তাদের সংখ্যা প্রায় চার কোটি পাঁচ লাখ, যার অধিকাংশই বেকার। এসব বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাইভেট খাতে চাকরির সুযোগ দ্বিগুণ করা হবে বলে সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর বিনোদনের জন্য সে দেশের পর্যটক ও নাগরিকরা যাতে দেশের বাইরে গিয়ে অর্থ ব্যয় না করে, সেজন্য সৌদি আরব আগামী পাঁচ বছরে পশ্চিমা বিনোদন আর গ্ল্যামারের দুয়ার উš§ুক্ত করে দেবে। এরই মধ্যে সৌদি সরকার সিনেমা হল আর বিনোদন কেন্দ্রগুলো চালু করেছে।
তায়েফে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র এবং অর্থনৈতিক জোন হিসেবে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের একটি শহর গড়ে তোলার বিশাল প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শহরটির নাম ‘নিওম’ হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ অর্থনৈতিক জোনের প্রকল্পব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুবরাজ সালমান মনে করেন, সৌদি আরবকে অবশ্যই মানবাধিকারের নীতিতে বিশ্বাস করতে হবে। সৌদি স্কুলগুলো এতদিন চরমপন্থি সংগঠন ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’ কর্তৃক অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়ে ছিল। সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠে এরই মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মৌলবাদ দূর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বের কোনো দেশই চায় না তাদের শিক্ষাব্যবস্থা কোনো চরমপন্থি গ্রুপ দ্বারা প্রভাবিত থাকুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তির বিষয়ে সৌদি নাগরিকেরা সবসময়ই এগিয়ে। শিগগিরই নারী ও পুরুষের বেতনও সমান করা হবে বলে জানিয়েছেন যুবরাজ।
সৌদি আরবের অর্থনীতি চাঙা করতে কিছু সংস্কার শুরু করেছেন যুবরাজ। রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। নতুন অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভিশন ২০৩০’। এর লক্ষ্য হচ্ছে ১২ বছরের মধ্যে সৌদি নাগরিকদের জনজীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা। যুবরাজ দ্য গার্ডিয়ানকে গত মাসে বলেছেন, সৌদি রাজতন্ত্র গত ৩০ বছর স্বাভাবিক ছিল না। তিনি দেশটিকে মধ্যপন্থি ইসলামের দিকে নিয়ে যেতে চান। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নতুন করে পরস্পর সহযোগিতার ২০টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ওমানকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোটে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি নতুন সামরিক ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুবরাজ সালমান রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোকে ব্যক্তিমালিকানাধীন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি গোপনে ইসরাইল সফরও করেন। মুহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের যুবরাজ ও নেতা হয়ে ওঠার পর দেশটির রাজনীতি ‘এ’ থেকে ‘জেড’-এ মোড় নিয়েছে। তবে দেশটি ইয়েমেন যুদ্ধে প্রতিদিন ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।
যুবরাজ সালমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পরিকল্পনা ও পরামর্শ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক পন্থার ওপর জোর দিয়েছেন। বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরব ভূভাগের রাজনৈতিক চিত্রকে পরিবর্তন করতে হলে নতুন রাজনৈতিক নীতি অবলম্বন করতে হবে। এই কাজটিই করতে চান সৌদি যুবরাজ সালমান।
মুহাম্মদ বিন সালমান দেশে ও দেশের বাইরে তার বিরোধীদের ওপর সরাসরি আঘাত হানা এবং বিরুদ্ধবাদী শক্তিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে কঠোর পথকে বেছে নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরব এখন ‘পরমাণু জ্বালানি’ শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন সৌদি আরব পরমাণু যুগে প্রবেশ করলে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে।
যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি শাসকেরা এখন ওহাবিবাদকে পুরোপুরি অস্বীকার করছে। মুহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবকে ওহাবি ইসলাম থেকে বের করে একটি গণমুখী ও সামরিক শক্তিসম্পন্ন সৌদি জাতীয়তাবাদের পথে যাত্রা শুরু করেছেন। দি ইকোনমিস্ট বলেছে, সৌদি যুবরাজ মিসরভিত্তিক ইসলামি বিপ্লবী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘বিপদ’ বলে মনে করেন। আরববিশ্বে ব্রাদারহুডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মনে করা হয় কাতারকে। সেজন্য তিন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। বিন সালমানের এখন প্রধান তিন শত্রু ইরান, ইসলামিক স্টেট ও মুসলিম ব্রাদারহুড। এই তিন প্রধান শত্রুর বাইরে রয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এই পাঁচ শত্রুকে কোণঠাসা করতে কট্টরপন্থি ইসলামকেও দমন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সৌদি আরব।
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সৌদি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো জুলাই থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করবে। এতে জ্বালানি তেল উত্তোলনে রেকর্ড করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। আগামী নভেম্বর মাসে মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে তেলের দাম কমানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশেষভাবে তৎপর হয়েছেন। এছাড়া দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে। সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলা না হলে রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে না সৌদি আরব।
নারীদের অধিকারের নানা সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরও সে দেশে নারীরা নিরাপদ নয়, বিশেষ করে সে দেশে কর্মরত নারী শ্রমিকেরা। মুসলিম দেশের পুণ্যভূমি হওয়া সত্ত্বেও কয়েকটি মুসলিম দেশের নারী শ্রমিকেরা সৌদি আরবে নানাভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার। এসব ঘটনা নারীদের প্রতি সৌদি নাগরিকদের মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য নিরাপদ না হলে একটি রাষ্ট্র শক্তিশালী হতে পারে না। বিশেষ কোনো রাষ্ট্রকে খুশি করার লক্ষ্যে সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হলে তা সৌদি আরবের শত্রুসংখ্যাই বাড়াবে। যুবরাজ সালমানের সংস্কার দেশের নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নের জন্য, নাকি বিশেষ কোনো দেশকে খুশি করার জন্যÑতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।