সমলোচনার জবাবে যা বললেন তামিম

তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। গতকাল রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেয়েছেন দশম শতক, যা যেকোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের এটি প্রথম অর্জন। এর মধ্যে সাতটি সেঞ্চুরিতেই তামিমের ব্যাটের সঙ্গে হেসেছে বাংলাদেশও। আর খেলার ধরনে এসেছে পরিপক্বতা, নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখেছেন সব ধরনের পিচের সঙ্গে। সেখানেই কি না ভক্তদের আপত্তি! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের পাশাপাশি তামিমের খেলার শ্লথ গতি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
গায়ানার উইকেটে যে পরিমাণ ফাটল ছিল, তাতে করে ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং করা অনেক কঠিনই ছিল বলা চলে। তার প্রমাণ পাওয়া গেল দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাধ্যমে। গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমও একই কথা জানালেন, ‘একটা ম্যাচ জেতা সব সময়ই বিশেষ কিছু। এটা ব্যাটিং উইকেট ছিল না। আমি ও সাকিব দুজনই থিতু হওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করছিলাম। ২৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট খুব স্পিনিং ছিল এবং পেসারদের সাহায্য করছিল। আমরা শুধু ক্রিজে থাকতে চেয়েছি আর রানের কথা চিন্তা না করে ইনিংসটা যতক্ষণ ধরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করেছি। আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, কিন্তু মুশফিকের ছোট ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে তার চেয়ে ২০ রান বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি।’

Advertisement
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে খেলে এমনদের মাঝে আছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল এবং সেকালের খেলোয়াড় বলতে মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস ছিলেন। কিন্তু খেলার ধরন যাঁরা যুগোপযোগী করে তুলতে পারেননি, তাঁরা হারিয়ে গেছেন কালের গর্ভে। অন্যদিকে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেদের খাপ খেতে নিচ্ছেন বিভিন্ন পিচের সঙ্গে। গত দুই সপ্তাহের দিকে তাকালে বাংলাদেশ দলের যে ভগ্নদশা দেখা গিয়েছিল, সে হিসেবে গতকালের একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ সাবধানে খেলবে, এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই, টেস্টের সঙ্গে এই বাংলাদেশের পার্থক্য যে শুধু ফলাফলেই নয়; বরং তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়ের শতক করতে প্রয়োজন হয় ১৪৬ বল, সেখানে গুণগত পার্থক্য স্বীকার করে নেওয়াটাই শ্রেয়। পরে তামিম ইকবাল ১৬০ বল খেলে ১০টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছয়ের মারে ১৩০ রানের এক অনবদ্য ইনিংস সাজান। অন্যদিকে দলকে টেনে তোলার জন্য সাকিব আল হাসানও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ১২১ বল খেলে ৯৭ রান করে আউট হন তিনি। ততক্ষণে বাংলাদেশের জন্য ২০৭ রানের একটা শক্ত ভিত দিয়ে ফেলেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
মুশফিকুর রহিমের ১১ বলে ৩০ রান করা ক্যামিও ইনিংস বাংলাদেশকে শেষ ওভারগুলোতে তাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। এদিকে বোলিং বিভাগ তাদের কাজ সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৪৮ রানে। ধীরে খেলা থেকে দারুণ কিছু হলে ধীরে খেলাই ভালো!