ভারত সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে রোববার দিল্লি গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এরইমধ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি রোববার বিকেল ৪টায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানাগেছে, বৈঠকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এরশাদ সেখানে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জাতীয় পার্টি তার নির্বাচনী কৌশল পরিবর্তন করবে। আর না হয় জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করবে।
বৈঠকে এরশাদ জানান, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। এমনকি বিএনপিও এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতবে না। জাতীয় পার্টির আসন বাড়বে। এতে সরকার গঠনের সময়ও জাতীয় পার্টি ভূমিকা রাখবে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতার কাছে থাকাতে জাতীয় পার্টি কৌশলী হবে।
এদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হওয়ার কথা রয়েছে।
এরশাদের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, মেজর অব. খালেদ আখতার। আগামী ২৬ জুলাই এরশাদ দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
তবে ভারত সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে এরশাদের দিল্লী সফর হলেও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিকদের অনেকই এরশাদের এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রতি দিল্লির সমর্থন লাভের আশায় এরশাদের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তাদের মতে, জাতীয় পার্টি আগামী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়। নয়াদিল্লি চাইলে এবং সহযোগিতা করলে সেটা সম্ভব হতে পারে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে বিএনপি বিহীন জাতীয় সংসদে একমাত্র বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভুত হতে চায় জাপা। আর এরশাদ হতে চান বিরোধী দলের নেতা। তাই নিজের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য নির্বাচনের আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিল্লি সফর করছেন।