বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও চীনের মধ্যে ১৩ চুক্তি সই হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আবুধাবি সফরে এ চুক্তি সই হয়। ইউএই’র দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন। ২৯ বছরের ইতিহাসে চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট দেশটিতে সফরে গেলেন। খবর আরব নিউজ।
ইউএই’র ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে শি’র এ সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
মধ্যপ্রাচ্যে চীনা পণ্য রফতানির ৬০ শতাংই ইউএই অঞ্চল হয়ে যায়। আর আরব বিশ্বে চীনের রফতানির প্রায় ২৫ শতাংশই হয় দেশটিতে। এছাড়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অন্যতম রুট আরব আমিরাত। পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে বাজার বাড়াতে পুরোনো সিল্ক রোড নতুন করে উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এ জন্য কয়েক হাজার কোটি ডলার ব্যয় করার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি।
২০১৭ সালে ১০ লাখের বেশি চীনা পর্যটক বেড়াতে গেছেন আরব আমিরাতে। ওই বছর দেশটির সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৫৪ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবার শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ এক টুইটে বলেছেন, উভয় ক্ষেত্রেই এ দুই খাতের অঙ্কটা দ্বিগুণ করবেন তারা।
দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মধ্যে ইউএইতে চীনের দূতাবাস ও সাংস্কৃতিক ভবন, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, কৃষি ও ই-কমার্স ব্যবসা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ অন্যতম। এছাড়া আবুধাবিতে চীনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রথম শাখা চালু হতে যাচ্ছে।
দেশটির ক্রাউন প্রিন্স টুইট বার্তায় বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সফর এবং সব খাতে সহযোগিতার নতুন ধাপ উšে§াচিত হবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষের জন্য প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আসবে।’ প্রতিবেদনমতে, ইউএই ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য ২০২০ সাল নাগাদ সাত হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
ইউএইতে বিনিয়োগের ব্যাপারেও চীনের আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে উপসাগরীয় দেশটিতে শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ হচ্ছে চীন। ইউএই’র আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কাউন্সিল (ইউএইআইআইসি) বলছে, চীনের শিল্প ও বাণিজ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সেবা খাতসহ বিভিন্ন খাতে ইউএই’র কয়েকশ কোম্পানি কাজ করছে।