ভারত সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে রোববার দিল্লি যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় নির্বাচনের কয়েকমাস আগে দলের চেয়ারম্যানের এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে জাপার জ্যেষ্ঠ নেতারা।
সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন এরশাদ।
এসব বৈঠক থেকে কঠিন পরামর্শ নিয়েই এরশাদ দেশে ফিরবেন, এমনটা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। ভারত সফরে এরশাদের সঙ্গী হচ্ছেন এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
তিনি বলেন, ভারত সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা ভারতে যাচ্ছি। আমাদের দলের চেয়ারম্যান ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। ভারত থেকে তিনি পরামর্শ নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় তিনি কঠিন পরামর্শ নিয়েই আসবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয় বৈঠকটি।
এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রাজেশ উইকে।
এরশাদের এ ভারত সফরকালে তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, মেজর অব. খালেদ আখতার। আগামী ২৬ জুলাই এরশাদ দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ভারত সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে এরশাদের দিল্লী সফর হলেও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিকদের অনেকই এরশাদের এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রতি দিল্লির সমর্থন লাভের আশায় এরশাদের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের মতে, জাতীয় পার্টি আগামী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়। নয়াদিল্লি চাইলে এবং সহযোগিতা করলে সেটা সম্ভব হতে পারে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে বিএনপি বিহীন জাতীয় সংসদে একমাত্র বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভুত হতে চায় জাপা। আর এরশাদ হতে চান বিরোধী দলের নেতা। তাই নিজের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য নির্বাচনের আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিল্লি সফর করছেন।