ফুটবল বিশ্বকাপের ডামাডোলের মাঝে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধোলাই খেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে দু’দলের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ইউনিভার্সিটিজ অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। এ জয়ে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তারা।
ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় দ্বীপে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে ছিলেন না তিনি। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বৃহস্পতিবার সাবিনা পার্কে টস জিতে আগে বোলিং নেন তিনি। তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ইউনিভার্সিটিজ অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশ। রানের খাতা খোলার আগেই রুবেল হোসেনে র শিকার হয়ে ফেরেন ওয়ালটন। এদিন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। রান আটকে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত উইকেট শিকার করেন তিনি। শুরুতে গেইলকে ফেরানোর পর শিকার করেন আরো ৩ উইকেট নেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
মোসাদ্দেকের থাবায় ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশ ঘুরে দাঁড়ায় সপ্তম উইকেটে। এই উইকেটে ওটলি ও হজ যোগ করেন ৯০ রান। তাদের জুটিতে লড়াই করার পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ৪৫তম ওভারে হজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রুবেল। অপরপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন ওটলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৭ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশ। বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক ৪টি ও রুবেল ৩টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বিনা রানে ফিরে যান আনামুল হক বিজয়। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের ব্যাটে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। ১৯ ওভারে দলীয় ১০১ রানের মাথায় পাওয়েলের শিকার হয়ে ফেরেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান।
এর আগে হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। ১ উইকেটে ১০১ থেকে হঠাৎ করেই ৪ উইকেটে ১২৭ হয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘণঘটা দেখায় দেখা দেয়। তবে শক্ত হাতে তা দূর করেন মোসাদ্দেক-মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন তারা। এ জুটি থেকে আসে ২৯ রান। দলীয় ১৫৬ রানে সিয়ারলেসের শিকার বনে সাজঘরে ফেরেন সৈকত। তবে অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিক।
সৈকতের বিদায়ের পর ক্রিজে ফেরত আসেন লিটন। তাকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। দারুণ সঙ্গ দেন লিটনও। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে হজের বলে ওয়ালটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। পরে মিরাজকে নিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করেন মুশফিক। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।