সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। পাসের হারও গতবারের চেয়ে কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ সংখ্যা।
সিলেট বোর্ডে এবারের পরীক্ষায় মোট ৭১ হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪৪ হাজার ১২৭ জন। বোর্ডে পাশের হার ৬২ দশমিক শতাংশ। যা গেল বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। তবে গত বছর ৭০০ শিক্ষার্থী জিপিএ -৫ পেলেও এবার পেয়েছেন ৮৭৩ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ।
ইংরেজি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পরিসংখ্যান ও একাউন্টিং বিষয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করায় এবার পাসের হার কমেছে বলে মনে করেন শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা।
সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলায় পাসের হারের দিক থেকে সিলেটে ৬৬ দশমিক ৯১, হবিগঞ্জে ৫৭ দশমিক ৭৫, মৌলভীবাজারে ৫৫ দশমিক ২৫ ও সুনামগঞ্জে ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত বছরের মতো এবারো ছেলেদের ছেয়ে মেয়েরা ভাল ফল করছে। ৩২ হাজার ৫৬১ জন ছেলে অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৯ হাজার ১৮৬ জন।
অন্যদিকে ৩৮ হাজার ৪৬১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৪১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৫৮ দশমিক ৯২ শতাংশ আর মেয়েরা পাস করেছে ৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে বিগত ১২ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সিলেট। যেখানে ২০০৬ সালে পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০০৭ সালে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০০৯ সালে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০১০ সালে পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১১ সালে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০১২ সালে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ০৩ শতাংশ।