এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে সারাদেশে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ১১ বছরের মধ্যে পাসের হার এবারই সর্বনিম্ন।
পাসের হার কমার বিষয়কে শিক্ষায় সংখ্যাগত উন্নতি বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি হতাশ নন। শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে খাতা মূল্যায়নে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন তিনি। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
গত ১১ বছরের মধ্যে এবারের পাসের হার সর্বনিম্ন। খুব দ্রুত এবারের ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হবে। কোথায় তুলনামূলক পাসের হার কম, কোথায় বেড়েছে, কেন-ই বা এমন হচ্ছে ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা চলবে। এমনিতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা জটিলতায় সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, পেশার প্রতি শিক্ষকদের শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। এখানে কেবল পাসের হার দেখে নেয়া যাক। ২০০৮ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ গত ১১ বছরের গড় পাসের হার এখানে তুলে ধরা হলো।
নিচে তালিকা আকারে একের পর এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সাল ও পাসের হার দেখে নিন। এতে পার্থক্যটা বুঝে নিতে সুবিধা হবে-
২০১৮ সাল- পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ
২০১৭ সাল- পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ; অর্থাৎ এবার কমেছে ২.২৭ শতাংশ,
২০১৬ সাল- পাসের হার ৭৪.৭০ শতাংশ,
২০১৫ সাল- পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ,
২০১৪ সাল- পাসের হার ৭৮.৩৩ শতাংশ; এই পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ পাসের হার,
২০১৩ সাল- পাসের হার ৭৪.৩০ শতাংশ,
২০১২ সাল- পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ,
২০১১ সাল- পাসের হার ৭৫.০৮ শতাংশ,
২০১০ সাল- পাসের হার ৭৪.২৮ শতাংশ,
২০০৯ সাল- পাসের হার ৭২.৭৮ শতাংশ,
২০০৮ সাল- পাসের হার ৭৬.১৯ শতাংশ।
এই ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পাসের হার ছিল ২০১২ সালে। আর গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চা পাসের হার দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালে। ২০০৮ সালের পর হার ক্রমশ কমতে তাকে পরের তিন বছর পর্যন্ত।