কর্মস্থলের একটি প্রজেক্টের কাজে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ছেলে সাকিব ইসলাম। সেখানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। মাঝে মাঝে খেতে শহরের ম্যাকডোনাল্ডসে যেতেন সাকিব। সেখানে কর্মরত এক মালয়েশিয়ান তরুণীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই হাই-হ্যালো হতো।
তরুণীর নাম ছিল জিহান জারিন। সে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই জেলাতে ম্যাগডোনাসে পার্টটাইম কাজ করত। এরই মধ্যে পরিচয় হয় দু’জনের, এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় পরিণয়ে। দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের সম্পর্কের পর সম্প্রতি তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি তাদের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। সাকিব বলেছেন তাদের সম্পর্কের বিস্তারিত।
দুই দেশ-দুই সাস্কৃতি সব মিলিয়ে বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল, সেখানে কিভাবে এই রকম সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। তারও (জিহান জারিন বিনতে জুমাইডি) একটা ইচ্ছে ছিল যত কষ্ট হোক বা যাই হোক আমরা একই সাথে থাকব, আলাদা হব না। সে পরিপেক্ষিতে আমাদের আজ এখানে আসা সম্ভব হয়েছে।’
দুই পরিবার কিভাবে ম্যানেজ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু ফরেনার, ওর পরিবার আসলো, আমাকে দেখল; আমি ওখানে কি, আমার বিজনেস কি বা আমি তার মেয়েকে সাপোর্ট করতে পারব কিনা। ওর ফ্যামিলির মধ্যে ওর মা-বাবা সবাই দেখছে। পরে ওদের আমাকে পছন্দ হয়। আল্লাহ মালিক আমাকে যা দিছে, মালয়েশিয়ায় তাতে নিঃসন্দেহে আমি তার ভরণপোষণ নিতে পারব। এভাবে তারা আমার বিয়েতে রাজি হয়।’
বেশি বাধা তো পার করতে হয়নি তার মানে এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নিজের প্রতি আলাদা কনফিডেন্স ছিল। ওই দেশের একটা ছেলের মধ্যে কি আছে যা আমার মধ্যে নেই। আমার বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা সব আছে।’
বিয়ের পর এখন কেমন লাগছে এই উত্তরে সাকিব বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। টেনশন নেই সব কিছু ফ্রি।’
বাংলাদেশের আত্মীয়রা কিভাবে নিয়েছে জানতে চাইলে এই যুবক বলেন, ‘বাবা মা খুশী। এছাড়া আত্মীয়রা সবাই খুশী। গ্রামের বাড়িতে তো লোকজন জমে গেছে। জানতে যখন আমি বিদেশী মেয়ে বিয়ে করেছি। মামাদের কুলেও এমননি ব্যাপার কাজ করছে।’
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার সকল ব্যবসা মালয়েশিয়াতে। দেশে থাকার প্লান আছে। কারণ আমি বাংলাদেশের ছেলে। আমি দেশে আসব যাবো। আমার স্ত্রীও আসবে। এমনিতে আমি মাসে এক দুইবার আসা যাওয়া করি। সে এখন মাষ্টার্স শেষ করেছে। আমার ব্যবসা আপাতত দেখছে। এতেই আমি গর্ব বোধ করি।’