মোদির জনসভায় মঞ্চ ভেঙে আহত ৯১ জন

ভারতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক সভাস্থলে মঞ্চ ভেঙে আহত হয়েছেন ৯১ জন। এর মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে এক কৃষক সমাবেশে এই ঘটনা ঘটে। সভা শেষে তাদের দেখতে হাসপাতালে যান মোদি।

জনসভা চলাকালীন সময়েই মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনাটি ঘটে। সকাল থেকেই সেখানে খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল। তার সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়া মোদির সভাস্থলে একটি মঞ্চে বহু মানুষ উঠে পড়েন। বৃষ্টিতে মাটি নরম থাকায় তা ভেঙে পড়লে তাতে আহত হন কয়েক ডজন মানুষ।

সমাবেশে মোদি বলেন, গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ত্রিপুরায় মুক্তির সূর্য উঠেছে। সাহস দেখালে সাফল্য আসবে পশ্চিমবঙ্গেও।

তিনি বলেন, আর তো মাত্র কয়েকটা মাস। তারপরই বদল আসবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। তৃণমূলের জুলুম থেকে মুক্তি মিলবে শিগগিরই।

মোদি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মজুর থেকে সাধারণ কৃষক, সবার রোজগারের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট। ইট-বালু-সিমেন্ট কোথা থেকে নেবেন তাও ঠিক করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট। কোথায় ফসল বিক্রি হবে, চাষি কত দামে ফসল বিক্রি করবে, তা ঠিক করছে সিন্ডিকেট। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। এ রাজ্যে পার্টি আর সরকারের লক্ষ্য হল সিন্ডিকেটকে সাহায্য করা। ভোট ব্যাংকের জন্যই সিন্ডিকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। যে রাজ্যে বন্দেমাতরম গান তৈরি হয়েছিল, সেই পবিত্র মাটিতেই সিন্ডিকেটের দাপাদাপি। ভোট প্রক্রিয়াকেও মানে না এ রাজ্যের সরকার।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মোদি
মোদি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাল দেখতে পাচ্ছি। বাম শাসনের চেয়েও বাংলায় এখন খারাপ অবস্থা। বামপন্থিদের সরিয়ে এই বিপদই কি আপনারা চেয়েছিলেন? রাজনৈতিক সিন্ডিকেট ভোট ব্যাংকের জন্য বাংলাকে অপমান করছে।

তিনি বলেন, আমার সরকার জনগণের সরকার। ক্ষমতায় এসে চটের দাম বাড়িয়েছে বিজেপি। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ উপকৃত হয়েছে। বিজেপি কৃষকদের জন্য সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে। আগে কেউ কৃষকদের কথা এত ভাবেনি। আমরা ক্ষমতায় এসে বাঁশকে ঘাস আখ্যা দিয়েছি।

মোদি বলেন, আগের সরকার গাছ বলে বাঁশ কাটা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এখন বাঁশ কেটে বিক্রি করা যাবে। গ্রামের উন্নয়ন না হলে শহর এগোতে পারবে না। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা আছে। বিজেপি কৃষকদের জন্য এত কাজ করেছে যে তৃণমূলও স্বাগত জানিয়েছে।

এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেছেন, বাংলায় আলুর ফলন ভাল হয়। তারপর কী হয় জানি! বন্যায় আলু নষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত হিমঘর নেই। বাংলার যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতের মহারাষ্ট্রজুড়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রায় ৬৫০ জন কৃষক।