‘ইউরো হারের বদলা ফ্রান্সের এই জয়’

সেই ১৯৯৮ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতলো ফ্রান্স। মজার ব্যাপার হলো, এই দু’বারই দলের জয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন দিদিয়ের দেশম। রোববার (১৫ জুলাই) মস্কোর লুঝনিকিবাসী নিশ্চয় একটিবারের জন্য হলেও রোমান্থন করেছেন সেই ১৯৯৮ সালের সুখস্মৃতি। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ সেই ৯৮ এর বিশ্বকাপে মাঠ মাতানো দেশম এবার নির্দেশনা দিচ্ছেন ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে।

লক্ষণীয় যে, এবার পুরোপুরি তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ফ্রান্স। এমবাপ্পে-পগবার মতো তরুণদের দিয়ে এবার বেশ চমক দেখান দেশম। প্রতিটি ম্যাচে তাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এতে দারুণ খুশি কোচ। বিশেষ করে ফ্রান্সের তরুণ দলটিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিশ্বকাপ জয়ী এই খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

ম্যাচ শেষে দিদিয়ের দেশম বলেছেন,‘কতটা বিস্ময়কর! তরুণ দল এটা। তারা এখনই চ্যাম্পিয়ন। ১৯ বছর বয়সেই অনেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল।’

ম্যানেজার হিসেবে দেশমের ঝুলিতে গেল বিশ্বকাপ। আর তাতেই অসাধারণ কীর্তি গড়েছেন ৪৯ বছর বয়সি দেশম। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম মাত্র তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেন। প্রথম দুজন ব্রাজিলে মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার। তার অধীনে ২০১৬ ইউরোতে অংশ নিয়েছিল ফ্রান্স। ফাইনালেও উঠেছিল দলটি। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। দেশমের মতে ওই ফাইনাল হার তাদেরকে বিশ্বকাপ জেতাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

তার মতে,‘আমরা আজ বড় ম্যাচ খেলেছি। আমরা মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী আছি সেটা প্রমাণ করেছি। আমরা চারটি গোল করেছি। তাই জয়টা আমাদেরই প্রাপ্র্য। এ দলটা খুব দ্রুত কাজ করে এবং কঠিন পথ সহজ করে তুলে। দুই বছর আগে আমরা ইউরো হারিয়েছিলাম। ওই হার আমাদেরকে বিশ্বকাপ জিততে বড় ভূমিকা রেখেছে।’