এবার ফাইনালে পেনাল্টি নিয়ে মুখ খুললেন দালিচ

এবার ফাইনালে পেনাল্টি- ম্যাচের শুরু থেকে ছিল তাদের আধিপত্য। কিন্তু তারপরও রূপকথার ফাইনালের যবনিকা ৪-২ গোলের হারে। ফ্রান্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। প্রথমবার ফাইনালে উঠে রানার্স আপ হওয়াটাই মেনে নিতে হলে ক্রোয়েশিয়াকে। কিন্তু এই বিশ্বকাপ কোচদের মধ্যে যাকে অনেক বড় তারকা বানিয়ে দিয়েছে সেই জ্লাতকো দালিচ রোববার রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালের পেনাল্টি বিতর্কটাকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না। বিতর্কিত ওই পেনাল্টি ছাড়া যে ফ্রান্স জিততে পারতো না তা বলছেন না ক্রোয়াট কোচ। কিন্তু বলছেন, বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘এমন পেনাল্টি দেওয়া যায় না’।

‘টুর্নামেন্টে ভাগ্যের ব্যাপারটা থেকে থাকলে ওখানে আজ আমাদের কমতি ছিল, প্রথম দুটি গোলকে সম্মান করেই বলছি।’ মস্কোর ফাইনালে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে দালিচ টেনে আনলেন প্রথমার্ধে ২-১ গোলে লিড নেওয়া ফ্রান্সের গোলটির কথা। যেটি রেফারি ইভান পেরিসিচের হাতে লাগার অপরাধে দিয়েছেন, ভিএআরে নিশ্চিত হয়ে। ‘প্রথম গোলটি আত্মঘাতী ছিল যদিও আমরা আধিপত্য করছিলাম এবং আমাদের গোলমুখে কোনো হুমকিই ছিল না।’ দালিচ বলছিলেন, ‘আমরা সমতা এনে ফেললাম, খেলোয়াড়রা হাল ছাড়ল না কিন্তু এরপর পেনাল্টিটা আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেল।’

খুব যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ৫১ বছরের এই কোচ তা নয়, ‘রেফারিকে আমি সম্মান করি এবং তিনি যা দেখেছেন তাই দিয়েছেন। আমি নেতিবাচক মানে করছি না।’ এর সাথে দালিচ যোগ করে দিলেন, ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর ‘ফুটবলের জন্য ভালো’ কিন্তু ‘যখন এটা আপনার বিরুদ্ধে যায় তখন খারাপ’।

নিজের লড়াকু দল নিয়ে গর্বিত দালিচ এখন নিরাপদে দেশে ফিরে বিশ্রাম নিতে চান। ‘গেল দুই মাস খুব কঠিন কাজের মধ্যে গেছে। এই ছেলেদের সাথে কাজ করাটা ছিল বড়ই সুন্দর এবং আমাদের সবার সময় একসাথে যেভাবে কাটলো তাতে আমি খুশি। এখন একটু নিঃশ্বাস নিতে চাই। রাতারাতি কোনো সিদ্ধান্ত নেই না আমি। এখন নিরাপদে ক্রোয়েশিয়া ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার কথাই কেবল ভাবছি।’

১৯৫০ সালে উরুগুয়ে শেষ চারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। এরপর ক্রোয়েশিয়া সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবার। শেষ পর্যন্ত শিরোপা মাত্র ৪৫ লাখ মানুষের দেশটির হলো না। তবু ভেঙে পড়েনি তারা। কিন্তু তাদের অ্যাসিসট্যান্ট কোচ দ্রাজেন লাদিচও মর্মাহত ওই বিতর্কিত পেনাল্টিটা নিয়ে, ‘আমি আগে ফ্রান্সকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা বেদনাহত কিন্তু একইসাথে গর্বিতও। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। তবে এটাই ফুটবল। ফ্রেঞ্চরা আমাদের চমকে দিতে পারেনি। ওদের গোটা দুয়েক সস্তা গোল করতে দিয়েছি আমরা, এর সাথে একটা আত্মঘাতী গোল ও পেনাল্টিটা যোগ হয়েছে।’