ক্লাব ফুটবলে কোটি কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকেরই। রোনালদো, মেসি, নেইমাররা যে অঙ্কের টাকা রোজগার করেন তাও অবাক করার মতো। সে তুলনায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খুব একটা বেশি রোজগার করেন না ফুটবলারার। ব্যতিক্রম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেই যে বিপুল অঙ্কের টাকা ফেডারেশনগুলি পায় তা সত্যিই চমকে দেয়ার মতো।
গত বছর অক্টোবর মাসেই ফিফা জানিয়ে দিয়েছেল ২০১৮ বিশ্বকাপে মোট পুরস্কার মূল্য ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পুরস্কার মূল্য ভাগ করে দেয়া হবে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলের মধ্যে। গতবছর এই পুরস্কার মূল্য ছিল ৩৫৮ মিলিয়ন অর্থাৎ এবছরের থেকে প্রায় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম ছিল আগের বিশ্বকাপের পুরস্কারমূল্য। যাই হোক লাখ টাকার প্রশ্ন হলো এই যে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিফা দিচ্ছে তা থেকে কোন দল কত টাকা পাচ্ছে?
ফিফার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মূল পর্বে সুযোগ পাওয়া সবকটি দলই শুধু খরচ-বাবদ ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি ৬১ লাখ বাংলাদেশী টাকা পায়। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া দলগুলি পাবে আরো ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ৬৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে যে দলগুলো ছিটকে যাবে তারা পাবে বাংলাদেশী মুদ্রার প্রায় ৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যে দলগুলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাবে তারা পাবে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৩৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থানাধিকারী দল অর্থাৎ তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে যে দল হেরে যাবে তারা পাবে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। যে দল তৃতীয় স্থান অধিকার করবে তারা পাবে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা।
বিশ্বকাপে যে দল রানার্স আপ হবে অর্থাৎ ক্রোয়েশিয়া পাচ্ছে ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৩৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা প্রায়। আর বিজয়ী দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পাচ্ছেন ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।