আজ কিংস্টোন টেস্টের চতুর্থ দিন হওয়ার কথা ছিল। এবং সেটা হলে খেলা শুরু হতো প্রতিদিনের মতো রাত নয়টায়। বিশ্বকাপের খেতাব লড়াইয়ে যখন কিনা মাঠে নামবে ফ্রান্স- ক্রোয়েশিয়া। কি বাজে সূচি, তাই না! বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের সময়ও ক্রিকেট কেন, সাকিব-তামিমরা ন্যায্য প্রশ্নটা করতেই পারেন! তারা কেন ফাইনাল থেকে বঞ্চিত হবেন?
চতুর্থ দিনের আগেই হেরে বসে থাকার কারণ তবে কি বিশ্বকাপ! ফাইনালের কারণেই কি ঝটপট আউট হয়ে তৃতীয় দিনেই খেলা শেষ করে দিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা? তবে সেটা যাইহোক, এখন কিন্তু চুটিয়ে ফাইনাল দেখতে পারবেন সাকিবরা। গোটা দুনিয়ার মতো তারাও এখন প্রস্তুত বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য!
কিছুদিন আগে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। জিম্বাবুয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই সময়ের সবচেয়ে দুর্বল দল। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একি পারফরম্যান্স দেখুন।
বিশ্বকাপ দামাদোলের মধ্যে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলঅঅউট হয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। আর দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৪৪ রানে।অ্যান্টিগাতে লজ্জার অসংখ্য রেকর্ড গড়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ২১৯ রানে হেরেছিল সাকিব বাহিনী। ৫দিনের ম্যাচ শেষ হয়েছিল সোয়া দুই দিনের আগেই।
কিংস্টোনে টেস্টে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১৪৯ ও ১৬৮। হেরেছে ১৬৬ রানে। দুই টেস্টের চার ইনিংসের একটিতেও ২০০ রানের ধারের কাছে যেতে পারেননি টাইগাররা। বাংলাদেশের এইটেস্ট সামার্থ নিয়েনতুন করে প্রশ্ন উঠতেই পারে এখন।