আজ শেষ হাসি কার-ম্যাক্রন না সুন্দরী কোলিন্দার?

আজ শেষ হাসি- ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্ডা গ্রাবার-কিতারোভিচ। এমনিতেই বিশ্ব মজেছে ছিল তার সেরা যৌন আবেদনময়ী রূপ নিয়ে। বিশ্বকাপে এসে কলিন্দার দেহ-বিভঙ্গে শুধু তাঁর দেশবাসীই নন, মজেছে গোটা দুনিয়া! বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম দিন থেকে গ্যালারি মাতাচ্ছেন কোলিন্দা।

আজকের বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠ মাতাবেন মদ্রিচ, রাকিটিচরা। আর গ্যালারিতে শুধু একজনই যথেষ্ঠ, কোলিন্দা গ্র্যাবার-কিটারোভিচ। লাস্যময়ী এ নারীই রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্যালারি মাতিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন। অন্যদিকে আরেক ফাইনালিস্টের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন একেবারে ঠান্ডা প্রকৃতির, চুপচাপ। যেখানে কোলিন্দার কিশোরী সুলভ চপলতা সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে, সেখানে অপেক্ষাকৃত তরুণ ম্যাক্রন একেবারেই নিষ্প্রভ।

ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল দারুণ ছন্দে আছে। স্বাগতিক রাশিয়াকে পেনাল্টিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন মদ্রিচরা। শেষ চারে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। এখন শুধু বিশ্বকাপটা নিয়ে দেশে ফেরা বাকি কোলিন্দা-মদ্রিচদের।

চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই রাশিয়ায় আছেন কোলিন্দা। খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা যোগাতে জার্সি পরে গ্যালারিতে হাজির থাকছেন। এমনকি দলের জয়ের পর সোজা চলে যাচ্ছেন ড্রেসিংরুমেও। শেষ ষোলোতে ডেনমার্ককে হারায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচশেষে কাউকে কিছু না জানিয়েই সোজা ড্রেসিংরুমে চলে যান কোলিন্দা।

আজ শেষ হাসি কার-ম্যাক্রন না সুন্দরী কোলিন্দার?

অন্যদিকে বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে দলকে উৎসাহ দিতে রাশিয়ায় আসেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ১৫ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ম্যানেজার দিদিয়ের দেশ্যমের মতোই ফ্রান্স ড্রেসিংরুমের নিজেকে ভাবছেন ম্যাক্রন। ম্যাক্রন বলেন, ‘প্রথমে আমি দেশ্যমের সাথে কথা বলবো এবং আমি তিনটি কঠিন শব্দ নিয়ে কথা বলবো, ঐক্যতা-প্রচেষ্টা ও আত্মবিশ্বাস।’ ম্যাক্রন আরো বলেন,‘দলের উপর আমার আস্থা আছে। আমি বুঝতে পারি তারা সফল হতে চায় এবং কাপ আনতে চায়। আমরা শুধুমাত্র অংশ নিতে যাচ্ছি না। আমরা জিততে যাচ্ছি।’

এদিকে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট! বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি। আজকে মহারণ। সামনে ফ্রান্স। কোলিন্ডা গত শুক্রবার বলেছেন, ‘ভীষণ উত্তেজিত। রবিবার অবধি কী করে অপেক্ষা করব তা নিজেও বুঝতে পারছি না। ’ মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রবিবার উপস্থিত থাকবেন ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট। প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে। কোলিন্ডা বলছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস চ্যাম্পিয়ন হব আমরাই।’

১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থান পেয়েছিল। এবার ফাইনালে। আর একটা ধাপ। জিততে পারলেই ইতিহাস তৈরি করবেন মদ্রিচ, রাকিতিচরা। ফাইনাল দেখার জন্য ক্রোয়েশিয়া থেকে অনেক সমর্থক আসছেন মস্কোয়। পাসপোর্ট নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই ক্রোয়েশিয়া প্রশাসন বাড়তি সময় কাজ করে চলেছে।

পুতিন, থেরেসা মেকে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি উপহার দিয়েছেন কোলিন্ডা। এবার ক্রোয়েশিয়ার জার্সি উপহার দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোকে। ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদ কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে মস্কোয় হাজির থাকব। আশা করব একটা ভাল ম্যাচ হবে।’

ম্যাচ ভাল বা মন্দ যাই হোক, খেলা শেষে জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ফাইনালে দুই তরুণ প্রেসিডেন্ট মুখোমুখি। দেখা যাবে শেষ হাসিটা কার- চুপচাপ আত্মপ্রত্যয়ী ম্যাক্রনের না কিশোরী-সুলভ চপলতায় ভরপুর কোলিন্দার?