এবার মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত প্রবাসীদের দারুন সুখবর দিলো বাংলাদেশ দূতাবাস কেউ মিস করবেন না দয়া করে!

মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া গত ৩০ জুন শেষ হলেও প্রদেশে প্রদেশে চলছে বাংলাদেশ দূতাবাসের মোবাইল ক্যাম্পিং। দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে প্রবাসীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে পাসপোর্ট।এদিকে অনেকেই অভিযোগ করেছেন সময়মত তারা পাসপোর্ট হাতে পাননি। কিন্তু দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় প্রবাসী কর্মীদের হাতে পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।

পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় দূতাবাসসহ মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে সরকারি ছুটির দিনেও পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। প্রবাসী ভাইদের সেবা প্রদানে আমরা অত্যন্ত তৎপর রয়েছি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৩৪২টি পাসপোর্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮৪ হাজার ৫৪২টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাসপোর্ট আবেদনে যদি কোনো ত্রুটি না থাকে তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, শনি ও রোববার পেনাংয়ে পাসপোর্ট বিতরন করছি এখানে শওকত আলী, জাহাঙ্গীর, কুদ্দুছ ও শাহ আলম ১৫ দিন আগে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদনে কোনো রকম ত্রুটি না থাকায় ১৫ দিনের মাথায় তাদের হাতে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।

এর সত্যতা যাচাইয়ে শওকত আলী, জাহাঙ্গীর, কুদ্দুছ ও শাহ আলমের কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন, আজ (১৪ জুলাই) আমরা পসপোর্ট হাতে পেয়েছি।
সময়মত পাসপোর্ট পাওয়াতে তারা খুশি। এখন সোনার হরিণ পারমিট পাবার পালা। দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেমিটেন্স যোদ্ধা শওকত আলী, জাহাঙ্গীর কুদ্দুছ ও শাহ আলমরা।

এদিকে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি শ্রম বিভাগের কর্মকর্তারা দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করে বাংলাদেশি কর্মীদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করছেন। এছাড়া যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের দ্রুত দেশে পাঠাতে ক্যাম্প কমান্ডারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি সপ্তাহে দুটি ক্যাম্প থেকে ১৪৯ বাংলাদেশি দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।