এই ঘটনাটি ঘটে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ কৃষ্ণনগর গ্রামের মান্নান মুন্সির বাড়িতে। তিন বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার বামনগাতী গ্রামের হায়দার আলী শেখের মেয়ে হাসি বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তারপর প্রবাসে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর হাসি বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয় । এরপর সাইফুল তার স্ত্রী হাসিকে একা দেশে পাঠিয়ে দেন। চার মাস পরই তাদের ঘরে আসে নতুন অতিথি । পুত্রসন্তান জন্মের খবর শুনে দেশে চলে আসেন সাইফুল।
যে মা বহু কষ্ট সহ্য করে সন্তান জন্ম দেন, সেই মাই আবার ছেলের স্বীকৃতির দাবিতে ৭ দিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে অনশন করছেন। এমনকি তার চার মাসের পুত্রসন্তান বাবার পরিচয় ও স্বামীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।কিন্তু দেশে ফিরে স্ত্রী হাসি ও সন্তানের কথা ভুলে যায় সাইফুল।
হাসিকে স্ত্রী হিসেবে কোনো স্বীকৃতি না দিয়ে শুরু করে বিভিন্ন টালবাহানা। পরে স্ত্রী হাসি বেগম কোনো উপায় না পেয়ে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। এদিকে হাসি তার বাড়িতে আসায় স্বামী সাইফুল বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন।
এ সুযোগে প্রতিনিয়ত হাসি বেগমের শাশুড়ি হামিদা বেগম, শামীম ফকির ও লিপিসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাকে বেদম মারধর করছেন বলে অভিযোগ করেছে হাসি বেগম।এ মারধর সহ্য করতে না পেরে হাসি বেগম বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল মুন্সিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।