আবারও ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের


অ্যান্টিগা টেস্টে ইনিংস ও ২১৯ রানের লজ্জায় পড়া বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ সাকিব-তামিমদের মুখে মুখে রয়ে গেল।

জ্যামাইকাতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৫৪ রানের জবাবে ১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ দল। মাত্র ৫ রানের জন্য ফলোঅন এড়াতে পারেনি সাকিবরা। টাইগারদের ফলোঅনের লজ্জায় ফেলতে চাননি বলেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট নিয়ে নেমে পড়েছেন ক্যারিবীয়রা।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯/১০ (তামিম ৪৭, সাকিব ৩২, মুশফিক ২৪, লিটন ১২, তাইজুল ১৮, মিরাজ ৩; হোল্ডার ৫/৪৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৩৫৪/১০ (ব্রাথওয়েট ১১০, হিতমার ৮৬; মিরাজ ৫/৯৩, আবু জায়েদ ৩/৩৮)।

২০৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ থেকে ২২৪ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।

এক ওভারে দুইটি করে উইকেট পড়লে, ইনিংস শেষ হতে কত ওভার লাগবে? জ্যামাইকা টেস্টে ব্যাটিংয়ে নেমে এমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন সাকিব-তামিমরা।

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৫৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে গ্যাবব্রিয়েলের করা সপ্তম ওভারে ফেরেন লিটন কুমার ও মুমিনুল হক সৌরভ। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লিটন। গালিতে ক্যাচ তুল দিয়ে একই পথ অনুসরণ করেন মুমিনুল।

২৪তম ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের গতির বলে ফেরেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হোল্ডারের বলে স্টাম্প উড়ে যায় সাকিবের। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন রিয়াদ।

৩৭তম ওভারে কিমো পাওয়েলের গতির শিকার ওপেনার তামিম ইকবালও নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের শুরু থেকে দেখে শুনে খেলা তামিমের স্টাম্প ভেঙে দেন জ্যামাইকা টেস্টে অভিষেক হওয়া তরুণ পেসার কিমো পাওয়েল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সোহান।

৪১তম ওভারে ফের ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জেসন হোল্ডার। ওভারের তৃতীয় বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের হয়ে বেশি সংখ্যক (৬২) টেস্ট ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিম। তার বিদায়ের ঠিকে পরের বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে যান তাইজুল ইসলাম। কিন্তু নো বলের কল্যাণে রক্ষা পান তিনি। না হয় এই ওভারেও এক জোড়া উইকেট পড়ত।

৪২তম ওভারে মিগুল কামিন্সের গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা মেহেদি হাসান মিরাজ।

শেষ দিকে সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় ওয়ানডের স্টাইলে খেলেন তাইজুল ইসলাম। ১৮ বলে চারটি চারের সাহায্যে ১৮ রান করা তাইজুল ফেরেন ৪৫তম ওভারে। জেসন হোল্ডারের বলে তাইজুলের স্টাম্প উড়ে যায়।

৪৭তম ওভারের প্রথম বলে আবু জায়েদ রাহীকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে প্যাকেট করে দেন হোল্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০.১ ওভারে ৪৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার। এছাড়া গ্যাবব্রিয়েল ও কাওয়েল ২টি করে উইকেট নেন।