গ্যালারিতে থাকা সুন্দরীদের টিভিতে দেখাতে ফিফার নিষেধাজ্ঞা, কিন্তু কেনো?

এবারের বিশ্বকাপের আলোচিত-সমালোচিত ইস্যু স্টেডিয়ামের গ্যালারির দৃশ্য। টেলিভিশনগুলো যতনা মাঠের দিকে নজর দেয়, তারচেয়ে বেশি নজর দেয় গ্যালারির সুন্দরীদের দিকে। তাদের উদ্দাম নৃত্যে চোখ আটকে যায় ক্যামেরাম্যানদের। আর তাইতো সম্প্রচার চ্যানেলগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে ফিফা।

ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, খেলা চলাকালে স্টেডিয়ামের সুন্দরীদের থেকে ফুটবলেই বেশি মনোনিবেশ করতে হবে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলিকে। ফিফার দাবি, স্টেডিয়ামে সুন্দরীদের দেখানোয় নাকি রাশিয়ার মেয়েদের উপর যৌন অত্যাচার বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় একটি যৌন অত্যাচার বিরোধী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, বিদেশ থেকে আগত সমর্থকরা রাস্তাঘাটে রাশিয়ার মেয়েদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করছে। এমনকী বিদেশ থেকে আসা মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গেও অশ্লীল আচরণ করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই অন্তত গোটা তিরিশেক শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি ওই সংস্থাটির। সংস্থাটির দাবি, এই ধরনের অন্তত তিনশোটি ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে রাশিয়ায়। তবে সবক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফিফা সুত্রে খবর, সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ চলাকালীন যত কম সম্ভব মেয়েদের দেখানো যায় ততই ভাল। অপ্রয়োজনীয় ভাবে সুন্দরীদের দিকে ফোকাস করা হলে শাস্তিও হতে পারে সম্প্রচারকারী সংস্থার।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সমকামিতা এবং বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছিল ফিফা। টুর্নামেন্ট চলাকালীন অযাচিত অসামাজিক কাজকর্মের উপরেও এবার নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে ফিফা। কিন্তু ফিফার এই নয়া উদ্যোগে রীতিমতো হতাশ সমর্থকদের একাংশ। বর্তমান বিশ্বে বিবেক নাড়িয়ে দেয়া ইস্যু যৌন হয়রানি। সর্বত্রই তা এখন ঘটে থাকে হরহামেশা। বিশ্বকাপের মতো অনিন্দ্যসুন্দর আয়োজনে যেন এই কলঙ্কের দাগ না লাগে, সে লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ ফিফার।

তবে এ নিয়ম কেবল চুক্তিবদ্ধ ব্রডকাস্টারদের ক্ষেত্রেই বলবৎ হবে। আদিয়েচি বলেন, আমরা ব্রডকাস্টারদের বলেছি- যেন তারা এটি না করে। তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। নারী ও বিশ্বকাপের সম্মান-মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই এ উদ্যোগ।