মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি আইনজীবী স্ত্রীকে হত্যা করে পলাতক স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ

দেশে বিদেশে প্রতিদিন ঘটে চলেছে নানান ধরনের খুন খারাপি, রাহাজানি ইত্যাদি। মালয়েশিয়ায় নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরো করে লাগেজের ভিতরে ভরে ডোবায় ফেলে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী।বাংলাদেশি ঐ নারী একজন আইনজীবী।তার নাম সাজেদা ই বুলবুল (২৯)। তাকে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।

মালয়রশিয়ার এক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যার পর স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরো করে লাগেজের ভিতরে ভরে ডোবায় ফেলে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী। ওই আইনজীবির সাজেদা ই বুলবুল (২৯) তার পাসপোর্ট নং :বিএ০৭৩২৫৭০।নারী আইনজীবী পটুয়াখালির সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো: আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ কন্যা।

গত ৫ জুলাই স্ত্রীকে নৃশংস হত্যার পর ঘাতক স্বামী শাহজাদা সাজু পালিয়েছে। মালয়েশিয়া পুলিশ তাকে খুঁজছে।এদিকে সাজেদার খুনের ঘটনা জানার পর শোকের মাতম চলছে তার পরিবারে। সাজেদা ই বুলবুলের বোন উপমা ফারহানা টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি এবং এল এম পাশ করেন তার বোন সাজেদা।

পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের পুত্র শাহজাদা সাজুর সাথে বিয়ে হয় সাজেদার। তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘাতক শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশুনা করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়া নিয়ে যায়।

সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ তৈরী করে দেয়নি। নিয়মিত নির্যাতন করা হত তার বোনের উপর।তাকে দুই তিন দিন পর পর খাবার দেয়া হত। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা মাকে মাঝে মাঝে জানাত। এক পর্যায়ে সাজেদার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে শাহজাদা।

বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিত তার মা, মামা সহ অন্যানরা। শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পলিয়ে যায় সাজেদা। সেখানে ২/৩দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনে।এরপর পরই নৃশংস খুনের শিকার হয় সাজেদা। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর সাজেদার লাশ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি লাশ উদ্ধার করে।