এক নজরে ফ্রান্সের কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম খেলোয়াড়রা

চলতি বিশ্বকাপে যে ক’জন ফুটবলার ঝলসে উঠেছেন তার মধ্যে বেশ ক’জন ফ্রান্সের। এদের মধ্যে এমপবাপ্পে ও পল পগবা উল্লেখযোগ্য। পগবা একজন মুসলিম ফুটবলার এটা সবাই জানেন। ধর্মেও বেশ মনোযোগী তিনি। কিছুদিন আগেই ওমরাহ হজ পালন করে এসেছেন।

ফ্রান্সের এবারের অন্যতম আলোচিত খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যতম দামি খেলোয়াড়ও তিনি। তবে এই তারকার শরীরেও বইছে মুসলিমের রক্ত। তার বাবা উইলফ্রাইড ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে চলে আসেন। বাবা ফুটবল কোচ। বিয়ে করেন আলজেরিয়ার মেয়ে ফাইজা লামারিকে। তিনি একজন হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ছিলেন। বাবা খ্রিস্টান কিন্তু মা ফাইজা মুসলিম। বাবার ধর্মান্তরিত হবার কথা শোনা গেলেও সেটা সত্য নয়। আর মা পারিবারিকভাবেই মুসলিম। কিলিয়ান এমবাপ্পের ধর্ম নিয়ে তাই মতান্তর রয়েছে।

ফ্রান্সের সাবেক ফরোয়ার্ড এনেলকা। ফ্রান্স জাতীয় দলের ম্যানেজারও ছিলেন তিনি। ক্লাবে খেলেছেন পিএসজি, আরসেনাল, লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। ২০০৪ সালে এনেলকা মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে আব্দুস সালাম বিলাল নাম ধারণ করেন। বলা হয় শুধু ধর্ম পালনের জন্যই ইউরোপিয়ান লিগ ছেড়ে আরব দেশে চলে আসেন এনেলকা।

ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার বেকারি সাগনা একজন মুসলিম ফুটবল খেলোয়াড়। তার বাবা- মা সেনেগাল থেকে ফ্রান্সে আসেন। ২০১০ সালে সাগনা ফরাসি-আলজেরিয়ান মডেল ওসাংবাদিক লুডিভিন কাদ্রিকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান আছে। একজনের নাম ইলিয়াস ও আরেকজনের নাম কাইস।

থিয়েরি হেনরি বর্তমানে পেশাদার কোচ। বেলজিয়াম দলের বর্তমানে অন্যতম সহকারী কোচ তিনি। ক্লাবে খেলেছেন মোনাকো, জুভেন্টাস, বার্সেলোনায়। তিনি তাঁর দেশ ফ্রান্সের রেকর্ড গোলদাতা। ২০০৮ সালে সাবেক এই তারকা খেলোয়াড় সতীর্থদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন।