এই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সাফল্যের অন্যতম বড় কাণ্ডারি তিনি। অধিনায়ক মদ্রিচের সাথে মিলে গড়ে তুলেছেন এই বিশ্বকাপের অন্যতম সৃজনশীল মাঝমাঠ। ২০ বছর পর সেমিফাইনাল খেলতে আসা ক্রোয়েশিয়ার তাই গতকালের ম্যাচে খুব বেশি দরকার ছিল ইভান রাকিটিচকে। রাকিটিচ নিজেও বোধহয় সেটা বুঝতে পেরেছিলেন, আর সে কারণেই কি না, গায়ে জ্বর নিয়েই খেলে গেছেন পুরো ম্যাচ।
তবুও খেলা ৯০ মিনিটে শেষ হলে এক কথা ছিল, ম্যাচের নিষ্পত্তির জন্য দুই দলকেই খেলতে হয়েছে ১২০ মিনিট করে। তবে রাকিটিচের কথা শুনে মনে হচ্ছে, ১২০ মিনিট কেন, ফাইনালে ওঠার জন্য দরকার পড়লে সারাদিনই মাঠে থাকতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
এই ম্যাচে খেলতে প্রয়োজনে যেকোনো কিছুই করতে প্রস্তুত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার, ‘গত রাতেও আমার গায়ে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর ছিল। বিছানায় শুয়ে শুয়ে পরের দিন খেলার মতো শক্তি সঞ্চয় করছিলাম আমি। শেষ পর্যন্ত আমার কষ্ট বৃথা যায়নি। ফাইনালে যদি এক পা বাদ দিয়েও খেলতে হয় আমার, তবুও আমি খেলব।
স্বাধীন দেশ হিসেবে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচটির জন্য কীভাবে উন্মুখ হয়ে আছেন ক্রোয়াট ফুটবলারেরা, তা তো রাকিটিচের কথা থেকেই স্পষ্ট।