সেমিতে ওঠার পর থেকেই ইংলিশরা মেতেছিল ‘ইটস কামিং হোম’ গানের সুরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘরের ফেরার অপেক্ষা বাড়ল ফুটবলের। ব্যর্থ কেইনরা ফেরাতে পারল না ফুটবলকে তার আঁতুড় ঘরে। তবে ক্রোয়াটরা গড়ল ইতিহাস। ইংলিশদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া।
ইংল্যান্ড ৫২ বছর আগে একবার পেরেছিল। এরপর সুযোগটা এসেছিল ১৯৯০ সালে, কিন্তু সেবার পারেনি। এবার একটা সুযোগ ছিল, দলটাও ছিল শিরোপার দাবিদার। আশায় বুক বেঁধে ছিল ইংলিশরাও। কেইনরা শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরবে। ঘরের ছেলেরা ঘরে ঠিকই ফিরল, তবে খালি হাতে। এত কাছে এসেও না ছুঁতে পারার আক্ষেপে পুরতে হলো তাদের। অথচ আর একটা ম্যাচ জিতলেই ফুটবল বিশ্বকাপের মুকুট নিজেদের করে নিতে পারত ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের শিরোপা ফিরে যেত আপন ঘরে। ফুটবল ফিরত তার নিজের ঘরে।
এর কিছুই তো হলো না! বাড়ল অপেক্ষা। আর হবেই বা কি করে। ফাইনালের আগে তো সেমিফাইনাল জিততে হয়। সেটাই যে জেতা হলো না। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। আর তাই ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচটি দর্শক হয়েই থাকতে হলো কেইনদের।