মালয়েশিয়ায় প্রবাসীরা শ্রমিকরা কি পুলিশের টাকার ব্যাংক!

মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুরের কে এল সেন্ট্রাল এরিয়া থেকে আজ সকাল স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ মিনিটে মোঃজুয়েল আক্তারের নিকট থেকে ২০০০ রিংগিত (৪২,০০০ টাকা) জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় বালায়ের (থানার) ৬জন টহল পুলিশ।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মোঃজুয়েল আক্তার বলেন,” আমি চুংগাই বিচি এলাকায় থাকি।এক মালায় বসের সাথে লিফটের কাজ করি। আজ সকাল ৮টা৩০শের দিকে বসের সাথে গাড়িতে করে কাজে যাচ্ছিলাম,আমি ও আমার ২জন বন্ধু জালাল আর রানা।হঠাৎ করেই ৬জন মোটরের পুলিশ আমাদের গাড়ি থামায়। এবং আমাদেরকে বসের গাড়িসহ বালায়ে (থানায়) নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে শুরু হয় ধস্তাধস্তি এবং এই সময় আজ সকালে পাওয়া বেতনের পুরোটা দিয়ে দিতে হয় পুলিশকে”।

এ সময় তিনি আরো বলেন “আমার বন্ধু ২ জনের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। জালালের কাছ থেকে ২৫০০রিংগিত (৫২০০০টাকা) আর রানার কাছে ব্যাংকের কার্ড ছিল। তাকে ব্যাংকার বুথ এ নিয়ে গিয়ে ৫০০ রিংগিত (১১০০০টাকা) উঠায় নেয় পুলিশ।

রানা বলে “পুলিশের ভাব দেখে মনে হয় বাঙালি প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের টাকার ব্যাংক , তাই সকালে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে এসেছে। ” এই কথা বলতে বলতে রানা কান্নায় ভেঙে পড়ে। ”

মোঃজুয়েল আক্তার ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের ৮ তারিখে ২৩ বছর বয়েসে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন। এবং বর্তমানে তিনি প্রচলিত রি হায়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভিসা পাওয়ার জন্য গত ১৩মাস ধরে ঘুরছেন।এবং এই প্রক্রিয়ায় তার ইতিমধ্যে ৬হাজার রিংগিত (১২৬০০০টাকা) খরচ হয়েছে । বর্তমানে তার ভিসার স্ট্যাটাস লেভি ফি জমা হয়েছে এবং সেটা অনলাইনে আছে।কিন্তু তার পরেও তাকে এবং তার বন্ধুদের এই মানুষরূপী পিশাচ দের লোভের শিকার হতে হলো। এই সকল কথা বলার এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জুয়েল ।

তিনি বলেন,” আজ সকালে বস বেতন দিয়েছে । গত ১টা মাস সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে এই টাকা পাইছি,তাও বাপের হাত পর্যন্ত দিতে পারলাম না”। এই বলে সে হাও মাও করে কেঁদে ওঠে আর বলেন ” টাকাটা বাপের হাতে দিতে পারলাম না ” মোঃজুয়েল আক্তার খুলনা বিভাগের যশোর জেলার সন্তান ।

কাগজ থাকলেও ধরে টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। কাগজ না থাকলে তো কোনো কথাই নাই।আমরা তো মালয়েশিয়া কাজ করতে এসেছি। এই অত্যাচার থেকে আমরা কি কোনো দিন মুক্তি পাবো না ?