যুক্তরাষ্ট্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে মেক্সিকো বর্ডার দিয়ে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা শিশুদের মধ্যে ৩৮ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুধুমাত্র পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকেই তাদের মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
স্যানডিয়েগোর একজন ফেডারেল কমিটির বিচারক ডানা সাবাও গত মাসে আটক শিশুদের বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দেন। এরপর শিশুদের বয়সভেদে আলাদা করতে থাকে সরকার।
সাবাও নির্দেশ দিয়েছিলেন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে যেন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী শিশুর সংখ্যা ১০২ জন। তবে নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় গত কয়েকদিনে সেই সংখ্যা কমে গেছে।
ডানা সাবাও জানান, তদন্তের পর হয়তো অনেকেই এই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে তার নির্দেশনাই বাবা-মার সঙ্গে শিশুদের একত্রিত করার ডেডলাইন। ফলে মঙ্গলবারের মধ্যেই ৬৩ জন শিশুর বাবা-মার কাছে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করায় পূর্ণ বয়স্ক অনেক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে গত কয়েক মাসে। আর এই কারণেই তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই শিশুরা। তবে এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে পুণর্মিলনে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি ১২ জুলাই সকালের মধ্যেই পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুদেরই আমরা আদালতের রায় অনুযায়ী বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হব।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৮ জন শিশুকে বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ১২ জন বাবা-মা হয়তো শিশুদের পাবেন। তবে সেজন্য তাদের ঠিকানা জানা জরুরি।
আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের বড় শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়াটাই প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেখানে শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত মে ও জুন মাসের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো অনুপ্রবেশকারীদের থেকে তাদের শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া হয়। যদিও পরবর্তিতে চাপের মুখে পড়ে এ অভিযানের সমাপ্তি টানেন ট্রাম্প।